বীরভূমে এবার অনুব্রত মণ্ডল নেই। তবে এই আসনটা জেতা এবার তৃণমূলের কাছে মর্যাদার লড়াই। আর সেই বীরভূমে গিয়ে এবার অভিষেক কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে এলেন। সূত্রের খবর, তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, যদি তিনি দেখেন যে লোকসভা ভোটে জয়ের ব্যবধান কমেছে তবে ভোটের পরে বুথ ধরে ধরে তিনি তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। এমনকী তার কথার এদিক ওদিক হবে না বলেও তিনি জানিয়েছেন। অভিষেক জানিয়েছেন, পুরনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর জয় হয়। কিন্তু লোকসভা ভোটে সেই আসনেই হারতে হয় তৃণমূলকে। এটা চলবে না। রেজাল্ট বের হওয়ার পরে হেরে যাওয়া বুথের কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মান অভিমান করে বসে থাকলে হবে না। আর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বীরভূমে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। আজও বৈঠক করেছি। কোনও সমস্যা নেই আর। হারলে সরিয়ে দেব, কাউন্সিলর, প্রধানদের কড়া হুঁশিয়ারি অভিষেকের। কিন্তু কোনও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে কি আদৌ এভাবে সরানো যায় প্রশ্ন তুলছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, এভাবে কি কাউকে সরিয়ে দেওয়া যায়? তিনি তো নির্বাচিত হয়ে এসেছেন। তাকে এভাবে সরাবেন কী করে? এমনকী রাজতন্ত্র চালাচ্ছেন বলেও কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতৃত্ব। এদিকে অভিষেকের এই হুঁশিয়ারি শোনার পরে অনেকেরই রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কার্যত দায়িত্ব ফিক্স করতে চাইছেন অভিষেক। কার্যত কোথাও যদি খারাপ ফল হয় তবে তার দায় নিতে হবে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের, পঞ্চায়েত সদস্যদের। আর অনুব্রতর তিহাড় যাত্রার পর থেকে বীরভূমে তৃণমূলের জীর্ণ অবস্থাটা ক্রমশ প্রকাশ্য়ে আসছে। তবে তার মধ্য়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধেই তৃণমূল পোস্টার দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এদিকে তৃণমূলের অন্দরমহল সূত্রে খবর, তৃণমূলের একাংশই রয়েছে এই পোস্টারের পেছনে। এদিকে দ্বন্দ্ব আগেও ছিল। কিন্তু অনুব্রতর দাপটে দলের অপরপক্ষের লোকজন কার্যত মাথা তুলতে পারতেন না। এতটাই কন্ট্রোল ছিল তার। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে একেবারে অন্য় ছবি। অনুব্রতহীন বীরভূমে ক্রমেই প্রকাশ্য়ে আসছে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব। আর সেই দ্বন্দ্ব কমাতে এবারে মোক্ষম ওষুধ দিলেন অভিষেক। বুধবার তারাপীঠ মন্দিরে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেখানে একটি বেসরকারি হোটেলে তিনি জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। সেখানে বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দলকে কীভাবে ভোটের কাজে নামাতে হবে তার নানা টিপস দেন অভিষেক।