ܫ ভারতীয় বিচারব্যবস্থাকে আক্রমণ করায় পালটা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার বিকেলে এক নির্বাচনী সভায় তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ভারতের নাগরিক? না রোহিঙ্গা?’
মমতা কি রোহিঙ্গা?
🤪এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কী ভাবে বলতে পারেন যে, ভারতবর্ষের বিচারব্যবস্থা না কি বিজেপির বিচারব্যবস্থা? কাল উনি একথা বলেছেন। এখন প্রশ্ন তোলার সময় এসেছে, এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ভারতবর্ষের নাগরিক? না কি তিনি অন্য কোথা থেকে এসেছেন? কোথা থেকে এসেছেন তিনি? তিনি রোহিঙ্গা নন তো? এই প্রশ্ন আজ আমাদের তুলতে হবে’।
আরও পড়ুন: ൩২০১৬ প্যানেল বাতিলে বাংলার স্কুলগুলিতে কতটা শূন্যতা তৈরি হবে? বিস্ফোরক পরিসংখ্যান পর্ষদের
পড়তে থাকুন: 🌄‘মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বাড়ি ঘেরাও করুন’, এসএসসি কাণ্ডে সুর চড়ালেন শুভেন্দু
🌱মমতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘তুমি জেনে রাখো, ভারতবর্ষের বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে এই অভিযোগ করায় তোমাকে নাক খদ দিতে হবে। আমাকে ভারত সরকার ও এই বিচারব্যবস্থা তার অন্তর্ভুক্ত হতে দিয়েছিল বলে আমি গর্বিত। ভারতের প্রতিটা মানুষ গর্বিত। অনেক রায় অনেক সরকারের বিরুদ্ধে, অনেক রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে যায়। সেজন্য কেউ কোনও দিন বলেছে, এই বিচারব্যবস্থা, বিজেপির বিচারব্যবস্থা’?
𓆏অভিজিৎবাবুর প্রশ্ন, ‘বিজেপির বিচারব্যবস্থা হলে কী ভাবে সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী বন্ডকে বেআইনি ঘোষণা করল। নির্লজ্জ মিথ্যাচারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকার যোগ্যতা আর তাঁর নেই। তাঁকে আমি ব্যক্তিগতভাবে আর মুখ্যমন্ত্রী বলে সম্মোধন করি না’।
বিচারব্যবস্থাকে আক্রমণ মমতার
꧟SSC নিয়োগ দুর্নীতির রায় দিয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষককে চাকরি থেকে বহিষ্কার করেছে। এই রায়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বুঝবারও বিচারব্যবস্থাকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, মমতা বলেন, ‘ভাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কিল মারার গোঁসাই। নিজেরা চাকরি দেয় না, কোন ডিপার্টমেন্ট কী ভাবে চাকরি দেয় সেটা সেই ডিপার্টমেন্টের ব্যাপার। আমি ইন্টারফেয়ার করি না। কিন্তু আমার খারাপ লেগেছে। বারে বারে দেখছি। বলছে ২৬ হাজার টিচারকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। আবার বলছে ১ মাসের মধ্যে ১২ শতাংশ সুদ দিয়ে তাদের সব টাকা ফেরত দিতে হবে। বিজেপি নেতাদের বলি, যারা এই সব কেস করে শিক্ষক – শিক্ষিকার চাকরি খাচ্ছো সারা জীবন সরকারি চাকরি করার পর যদি সেই টাকা ফেরত দিতে বলা হয়, পারবেন দিতে'?
আরও পড়ুন: 🏅‘আগে সবাই এই হাসিটা পছন্দ করত, এখন পাগল বলে’! মিম বানানো নিয়ে বক্তব্য রচনার
🤪মমতার প্রশ্ন, 'তাহলে এই ২৬ হাজার ছেলে - মেয়ে যাবে কোথায়? বাংলায় কি সব স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে? টিচারের চাকরি তার মানে কি আর হবে না? আমার হাতে এখনও সরকারি দফতরে ১০ লক্ষ এক্সট্রা চাকরি আছে। এই কোর্ট গেলেই আটকে দিচ্ছে। বিজেপির একটা মহাতীর্থ কেন্দ্র। সেখানে বিজেপি PIL করলেই একেবারে যা বলবে তাই। আর অন্য কেউ যদি বিচার চায় তাদের জন্য দরজা বন্ধ’।
ꦕসরাসরি কলকাতা হাইকোর্টকে বিজেপি কিনে নিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এরা কোর্ট কিনে নিয়েছে। সিবিআই কিনে নিয়েছে। আমি সুপ্রিম কোর্টের কথা বলছি না। সুপ্রিম কোর্টের কাছে আমরা এখনো বিচারের আশায় আছি। এরা হাইকোর্ট কিনে নিয়েছে। এরা সিবিআই কিনে নিয়েছে। এরা NIA কিনে নিয়েছে। এরা বিএসএফ কিনে নিয়েছে। দূরদর্শন দেখবেন, তার রংটাও গেরুয়া করে দিয়েছে’।