নির্বাচনের সময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলার অভিযোগ করে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্তিক মহারাজকে বিঁধেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিপ্রেক্ষিতে পালটা তোপ দেগেছিলেন কার্তিক মহারাজ। আর এবার মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি নোটিশ ধরালেন এই সাধু। সেই আইনি নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ৪ দিনের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ করা হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। নোটিশে বলা হয়েছে, মমতার মন্তব্যে ভারত সেবাশ্রম সঙ্গের সম্মানহানি ঘটেছে। উল্লেখ্য, শনিবার হুগলির গোঘাটের জনসভা থেকে রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রম সংঘের সাধুদের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই কার্তিক মহারাজ পালটা প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন মমতার মন্তব্য নিয়ে। আর এবার তিনি আইনি পদক্ষেপের পথে হাঁটলেন তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে। (আরও পড়ুন: ভোট পঞ্চমীর ৪৯টি আসনের কটিতে গতবার ফুটেছিল পদ্ম? আজকের দফায় কে❀ কোথায় এগিয়ে?)
আরও পড়ুন: আজ ꧂ভোট বাংলার ৭ আসনে, ২০২১ সালের নিরিখে আসন ধরে ধরে কোথায় এগিয়🌱ে BJP, TMC?
আরও পড়ুন: 'বাং✨লায় আমরা... আসন পাব', ভোট পঞ্চমীতে শাহের গলায় কোন পরিসংখ্যান?
এর আগে গত ১৮ মে রামকৃষ্ণ মিশন এবং ভারত সেবাশ্রমের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, এই দুই সাধু সঙ্ঘের কেউ কেউ 'সরাসরি রাজনীতি' করছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, 'সব সাধু এক হন না। সব স্বজন সমান হয় না। আমাদের মধ্যেও কি আমরা সবাই সমান? এই যে বহরমপুরের একজন মহ🎃ারাজ আছেন। আমি শুনেছি অনেক দিন ধরে... কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার শ্রদ্ধার তালিকায় তারা দীর্ঘদিন ধরেই আছেন। কিন্তু যে লোকটা বলে, তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্ট বসতে দেব না... সেই লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তার কারণ, সে সরাসরি রাজনীতি করে দেশটার সর্বনাশ করছে।'
আরও পড়ুন: WB Lok Sabha V♏ote LIVE: সকাল সকাল 'অশান্তি', ভোট পঞ্চমীতে তপ্ত বাংলা
এরপর মমতা আরও বলেন, 'কে কে এই সব করছে, আমি তাদের চিহ্নিত করছি। আমি রামকৃষ্ণ মিশকে কোন সাহায্যটা করিনি। সিপিএম যখন খাবার বন্ধ করে দিয়েছিল, তখন আমি সমর্থন করেছিলাম আপনাদের। সিপিএম কিন্তু তখন আপনাদের কাজ করতে দেয়নি। আর আসানসোলে একটি রামকৃষ্ণ মিশন আছে... দিল্লি♑ থেকে নির্দেশ আসে। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য বলা হয়। কেন সাধুরা এই কাজ করবেন? রামকৃষ্ণ মিশনকে সবাই সম্মান করে। ওদের যারা মেম্বার হয়, দীক্ষা ন☂েয়, তারা আছে। তাদের আমি ভালবাসতে পারি। আমি দীক্ষা নিতে পারি। কিন্তু রামকৃষ্ণ মিশন ভোট দেয় না কোনও দিনও। এটা আমি জানি। তা হলে আমি অন্যকে কেন ভোট দিতে বলব? মনে রাখবেন, স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িটাই থাকত না, আপনাদের এই মেয়েটা যদি না থাকত।'
আরও পড়ুন: 'ভোট কাটাকাটিতে' ইন্ডিয়🍷া ব্লক পঞ্চম দফায় নিজের পায়ে কোপ বসিয়েছে ১৫ আসনে!
এদিকে মমতার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রধান কার্তিক মহারাজ বলেছিলেন, 'আমি কোথাও এরকম কোনও কথা বলিনি যে তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেব না। মুখ্যমন্ত্রী কার কাছে এসব শুনেছেন আমি জানি না। আমি তো রাজনীতির লোকই নই। আর্তের সেবা করা আমার কাজ। কিন্তু আমি একজন হিন্দু। আর হিন্দুদের ওপর আক্রমণ এলে আমি চুপ করে বসে থাকতে পারি না। রেজিনগরে ওনার দলের বিধায়ক যখন বললেন ২ ঘণ্টার মধ্যে হিন্দুদের ভাগিরথীতে ভাসিয়ে দেব তখꦰন উনি কোনও প্রতিবাদ করেননি কেন? ঈশ্বর ওনাকে চৈতন্য দিন।'