একদিকে সন্দেশখালির স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। আবার রাজ্যপ🥃াল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে উঠেছে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। এই দুটি বিষয় নিয়ে এখন বেজায় চাপে পড়ে গিয়েছেন বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। একদিকে সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীর নাম জড়িয়েছে। অপরদিকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে উঠেছে মারাত্মক অভিযোগ। এই পরিস্থিতি নিয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না। রীতিমতো এখন ড্যামেজ কন্ট্রোলের পথ খোঁজা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শনিবার সন্দেশখালির বিজেপি নেতার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। তাতে ওই বিজেপি নেতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, সন্দেশখালির ঘটনা পুরোটাই সাজানো। মহিলাদের ধর্ষণের ঘটনাও সম্পূর্ণ মিথ্যে। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ।
এই স্টিং অপারেশনের ভাইরাল ভিডিয়ো সামনে আসতেই বিজেপির বিরুদ্ধে আওয়াজ সপ্তমে তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার নদিয়ার চౠাকদা থেকে সন্দেশখালির এই ভিডিয়ো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তুলোধনা করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘সন্দেশখালি নিয়ে ভাল নাটক তৈরি করেছিলেন। সব তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে।’ রাজ্য সরকারকে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে ওই ভিডিয়☂ো জমা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন অনেকটা ভেবেচিন্তে ওই ভিডিয়ো বিকৃত বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ভাইরাল ভিডিয়ো–তে দেখা যায়, বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল, জবা সিং এবং শান্তি দলুইকে। এখন দিলীপ ঘোষ সেটা এড়িয়ে যেতে চাইছে।
আরও পড়ুন: ‘বাংলার মানুষ বযﷺ়কট করবে রাজভবন’, শ্লীলতাহানির ঘটনা🔴য় বোসের বিরুদ্ধে ফোঁস করলেন অভিষেক
এদিকে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রধান ইস্যু হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। সেখানে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এ🅘সে যাওয়ার জেরে জোর ধাক্কা খেল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও দুর্গাপুরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষের সাফাই, ‘কোনও বিড়ম্বনা নেই। ওখানের আন্দোলন কি বিজেপি করেছে নাকি? আন্দোলন করেছেন সন্দেশখালির স্থানীয় মহিলারা, পীড়িত মানুষরা। ইডি, সিবিআইয়ের উপরে কে হামলা করেছে? বিজেপি তো করেনি। শাহজাহান তো স্বীকার করেছে হামলার কথা। ওর বাড়ি থেকে অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত চলছে, আদালত দেখছে।’ কিন্তু দিলীপ ঘোষ এড়িয়ে যাচ্ছেন যে, ওই আন্দোলনটা করানো হয়েছ🌠িল। টাকার বিনিময়ে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল। গোটা বিষয়টাই একটা ষড়যন্ত্র।
অন্যদিকে ভাইরাল ওই ভিডিয়ো থেকে বিজেপির সন্দেশখালির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা যাচ্ছে, তাদের দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করানো হয়েছে। দু’হাজার টাকার বিনিময়ে প্রত্যেককে দিয়ে এই কাজ করানো হয়। এমনকী এখন যিনি বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী, রেখা পাত্র তিনিও ওই দু’হাজার টাকা নিয়ে কাজ করেছেন বলে দাবি গঙ্গাধরের। আর গোটা বিষয়টির জন্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন। এই ভিডিয়ো’র সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। এবার এই🃏 পুরো বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে দিলীপ ঘোষের ব্যাখ্যা, ‘অনেক লোককে আজকাল কেনা–বেচা যায়। রাজভবনে লোক বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাজ্যপালের বদনাম করার জন্য। এক দু’জনকে লিখিয়ে পড়িয়ে বলিয়ে ইস্যু তৈরি করা যায়। কিন্তু সমস্যা চাপা দেওয়া যায় না।’