লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার মুখে আবার তাল ဣকাটল উত্তর কলকাতায়। কোন্দল একবার কোনওরকমে থেমেছিল। তবে আবার তা মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। সম্প্রতি ‘কাজ করতে পারছি না’ বলে ধরনায় বসেছিলেন ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর মোনালিসা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তাঁর নিশানায় ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীরা। তাঁর ওয়ার্ডে ঢুকে নির্বাচনী কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী দফতরে ধরনায় বসেছিলেন। এবার সেই মোনালিসাই আবার একবার ফেসবুক পোস্ট করে নিশানা করলেন সুদীপের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে এখন জলঘোলা হতে শুরু করেছে।
সুদীপের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যান তাপস রা🌜য়। তিনিই এখন সুদীপের প্রধান প্রতিপক্ষ উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে। তার উপর একবার কুণাল ঘোষও বিদ্রোহ করে বসেছিলেন সুদীপের বিরুদ্ধে। কাউন্সিলর মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা তখনকার জন্য মিটলেও আজ শনিবার তিনি একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই আবহে উত্তর কলকাতার দুই শতাধিক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী প্রদীপ ভট্টাচার্যের হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দেন। সুতরাং পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ছে উত্তর কলকাতায়।
আরও পড়ুন: মোদীর ছবিতে স𝓰িঙ্গাপুরের মেট🍌্রোর ছবি, তথ্য ফাঁস করে ভারতীয় জালি পার্টি বলল তৃণমূল
এবার উত্তর কলকাতার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচারের জন্য দু🦩’টি প্রচার পুস্তিকা প্রকাশ হয়েছে। আর সেটা নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কাউন্সিলর মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের ফেসবুক পোস্টে মোনালিসা লেখেন, ‘উত্তর কলকাতার প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি প্রচার পুস্তিকা প্রকাশিত হয়েছে। এতগুলি পাতায় এতগুলি ছবি। সেখানে আমাদের যুব সমাজের আইকন, ক্যাপ্টেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের অন্তত একটিও ছবি থাকলে ভাল হতো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ। তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ।’ তাঁর এই পোস্ট সুদীপের বিরুদ্ধে বলেই মনে করা হচ্ছে।
কেন অভিষেকের🌠 ছবি নেই? এই প্রশ্ন এখন দলের কাছেও বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনিও জয়ী সাংসদ। এবারও ডায়মন্ডহারবারের প্রার্থী। দলকে একাধিক আসন জেতাতে জান–প্রাণ এক করে লড়াই করছেন। প্রচারে তুলে আনছেন নিজের ঝাঁঝালো বক্তব্য। সেখানে তাঁর ছবি নেই! এটা বেমানান বটে। নবীন–প্রবীণ দ্বন্দ্বে অভিষেকের বিরুদ্ধেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সুদীপ। সেক্ষেত্রে ছবি যে থাকা উচিত ছিল মোনালিসার সেই দাবি সঠিক। এবার আবার সেই মোনালিসা–সুদীপের সম্পর্কে দড়ি টানাটানি লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে স্নায়ুর চাপ বাড়াল বলে মনে করা হচ্ছে।