আজ, সোমবার চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব চলাকালীন ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল বর্ধমানের মন্তেশ্বরে। বাঁশ ♛উঁচিয়ে দিলীপ ঘোষকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থীর গাড়ির সামন꧃েই শুয়ে পড়লেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। মন্তেশ্বরে তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দিলীপ ঘোষ। তখনই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে মন্তেশ্বর। বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের গাড়ি আটকে দেওয়া হয় রাস্তাতেই। কিছুতেই এগোতে দেননি তাঁরা দিলীপ ঘোষকে। আর এই নিয়ে সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। গাড়ির সামনেই শুয়ে পড়লেন তৃণমূলকর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামল বিরাট পুলিশ বাহিনী। তখন বচসায় জড়িয়ে পড়েন দিলীপ। আর গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা।
এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাপক ❀লাঠিচার্জ পুলিশ ও দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষী কর্মীরা। তাতে মাথা ফাটল এক🥃জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর। দিলীপ ঘোষকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। তাঁকে তাড়াও করে তৃণমূল কংগ্রেস। মারমুখী তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে ঘটনাস্থলে একাধিক গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। এখন সেখানে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। বিজেপির বুথ এজেন্টকে মারধর করার খবর পেয়ে সেখানে যান দিলীপ ঘোষ। তাঁকে ঘিরে তখন থেকেই অশান্তি শুরু হয়। দিলীপের অভিযোগ, তাঁকে দেখেই তেড়ে আসেন তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, তাদের এক কর্মীকে বিজেপির লোকজন মেরে রক্তাক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষ–ক🍬ীর্তি আজাদ একে অপরের বাহুডোরে, লোক♚সভা নির্বাচনে অভূতপূর্ব সৌজন্য
এদিকে আজ ভোট শুরু থেকেই মন্তেশ্বরের টুল্লা গ্রামের বিজেপি নেতারা দাবি করেন, তাঁদের এজেন্টকে বুথে বসতে দেওয়া হচ্ছে না। মেরে বের করে দেওয়া হচ্ছে। এই খবর পেয়ে আজ বেলা ১টা নাগাদ ঘটনাস্থলে যান দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা তখন তাঁকে বুথে ঢুকতে বাধা দে♉ন। আর তৃণমূল কর্মীদের দিকে তখন তেড়ে যান দিলীপ ঘোষ। পরবর্তীকালে তাঁদের সঙ্গে কার্যত হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি প্রার্থী। মন্তেশ্বরে দিলীপ ঘোষকে ঘিরে ‘গো–ব্যাক’, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান ওঠে। আটকে পড়েন দিলীপ। এই ঘটনার পর দিলীপ বলেন, ‘আমাদের এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমার গাড়ি আটকে ﷽ঝামেলা করছে। যেতে দিচ্ছে না। পাশে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা। সেখান থেকে কাউকে আসতে দিচ্ছে না। আমি এসবের হেস্তনেস্ত করে ছাড়ব। পুলিশ নিষ্ক্রিয়।’