আজ, চতুর্থ দফার ভোট শুরু হয়েছে বাংলায়। আর এই আবহেও সন্দেশখালি নিয়ে সরগরম রয়েছে রাজ্য–রাজনীতি। কারণ রবিবার দেখা গিয়েছিল বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের উসকানিতে কিছু বিজেপির মহিলা কর্মীরা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে রাস্তায় ফেলে মেরেছে। সেটা নিজের চোখে দেখেছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। আর এই ঘটনায় চারজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করল সন্দেশখালি থানার পুলিশ। মাঝরাতে এলাকায় তদন্তে যায়🎃 বিশাল ཧপুলিশবাহিনী। এখন আপাতত মিনাখাঁ থানায় রাখা হয়েছে ধৃতদের। আজ সোমবার পেশ করা হবে বসিরহাট আদালতে।
এই ঘটনা সামনে আসার পর ফুঁসে উঠেছেন বিজেপির আইটি সেলের ইনচার্জ অমিত মালব্য। আজ তিনি এক্স হ্যান্ডেলে সেই গ্রেফতারের ভিডিয়ো দিয়ে সোচ্চার হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতা উৎপল মাইতি এবং সুপ্রকাশ মণ্ডলকে গ্রেফ☂তার করা হয়েছে। পুলিশের হেফাজতে গীতা বর নামে এক মহিলা বিজেপি কর্মী আছেন। আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে খবর। তবে মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে সকালেই এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন অমিত মালব্য। অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে এই ঘটনা অবাক হওয়ার এবং আতঙ্কের বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
এদিকে 🎐রবিবার বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র এবং বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদারের নেতৃত্বে সন্দেশখালি থানা ঘেরাও করা হয়েছিল। পুলিশের সঙ্গে তখন কথা কাটাকাটিও হয়। তার মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর সামনে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দিলীপ মল্লিককে বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। রাস্তায় ফেলে মারধর করে পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয় তাঁর। আ💎সলে পর পর দুটি ভিডিয়ো সামনে আসায় মেজাজ ঠিক রাখতে না পেরে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়েছে। অথচ কেউ আদালতে গিয়ে ভিডিয়ো ভুয়ো বলে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করছেন না।
আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পꦏদ থেকে সের্গেই শোইগুকে সরিয়ে দিলেন পুতিন, কে এলেন নতুন পদে?
অন্যদিকে গোটা বিষয়টিকে ঢাকতে এবার আসরে নামেন বিজেপির আইটি সেলের নেতা অমিত মালব্য। আজ, সোমবার সকালে এই গ্রেফতারের বিরুদ্ধে তিনি গর্জে ওঠেন এক্স হ্যান্ডেলে। সেখানে অমিত মালব্য লেখেন, ‘এটা অবাক করার এবং আতঙ্কের। তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা দিলীপ মল্লিক সন্দেশখালির মহিলাদের ভয় দেখাচ্ছিলেন। যার প্রতিবাদ মহিলারা🌳 করেছেন। আর তার পরে বাংলার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স, সিভিক পুলিশ এবং স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা রাত ৩টের সময় বেশ কয়েকজন বিজেপির কার্যকর্তাদের বাড়িতে ঝাঁপিয়ে 🅺পড়ে এবং ভাঙচুর করে। ক্ষমতার এই নির্লজ্জ অপব্যবহার অবশ্যই বন্ধ করতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই ধরণের ভয়ভীতি বরদাস্ত করা হবে না। আইনের শাসন বিরাজ করুন। বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা আমাদের কর্মীদের মুক্তি দিন। শেখ শাহজাহানের মতো অপরাধীদের রক্ষা করা বন্ধ করুন।’