আজ, মঙ্গলবার মালদা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রে রোড–শো এবং তার পর রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে সমাবেশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এখন লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় দফার ভোট রয়েছে আগামী ২৬ এপ্রিল। তাতে দার্জিলিং, মালদা, রায়গঞ্জ–সহ নানা আসনে ভোট আছে। তাই বাংলায় আগমন শাহের। বাংলায় এসে এবার চাকরি বাতিল নিয়ে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ২৫,৭৫৩ চাকরি বাতিল হয়ে যায়। আর মঙ্গলবার এসএসসি দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুললেন শাহ। এই রায় কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছে। এতে বিজেপির ষড়যন্ত্র কোথায়? ব𓂃লে প্রশ্ন তোলেন অমিত শাহ।
এদিকে আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জবাব দিতেই শাহের এই মন্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ প্রত্যেকটি সভা–সমাবেশে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলতে শুরু করেছেন, বিজেপির কথায় এই রায় হয়েছে। বিজেপি পার্টি অফিস থেকে যেমন ড্রাফটিং করে দেওয়া হচ্ছে তেমন রায় দেওয়া হচ্ছে। জবাবে অমিত শাহ বলেন, ‘চাকরি বাতিল নিয়ে যা নির্দেশ সেটা তো কলকাতা হাইকোর্টের। এই রায়ের পিছনে বিজেপির ষড়যন্ত্র কোথায়? কেন এমন করেছে আদালত? কারণ ১০ লাখ, ১৫ লাখ টাকা ꦅকরে চাকরির জন্য ঘুষ নিত। মা–বোনেরা, আপনাদের কাছে, আপনাদের ভাই–ছেলেদের চাকরি চাকরি জোটানোর জন্য ১৫ লাখ টাকা আছে? নেই তো? তা হলে ওঁরা চাকরি পাবেন কী করে?’
আরও পড়ুন: ‘অভিষেককেও তো খুন করতে গিয়েছিলি’, 𓂃বীরভূম থেকে বিস্ফ💝োরক দাবি করলেন মমতা
অন্যদিকে বীরভূমের সভা থেকে এই বিষয়ে কড়া প্র𒆙তিক্রিয়া দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপির একটা কথায় ২৬ হাজার শিক্ষক–শিক্ষিকার চাকরি চলে গিয়েছে। তাঁদের বলছে কিনা ৮ বছরের মাইনে সুদ–সহ ফেরত দাও। আরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এত রাগ তো বোমা ফাটিয়ে মেরে দে। অভিষেক💃কেও তো খুন করতে গিয়েছিলি। ধরে ফেলেছিলাম আমরা।’ পাল্টা অমিত শাহের বক্তব্য, ‘ওঁদের এক মন্ত্রীর ঘর থেকে ৫১ কোটি টাকা নগদ মিলেছিল। পার্থ চট্টোপাধ্যায় আজ জেলে আছেন। আমি জানতে চাই, এই কাটমানি, এই চাকরি, খনিতে দুর্নীতি বাংলায় আটকানো উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটা পারবেন? এটা শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদী সরকারই বন্ধ করতে পারবে।’