লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ পর্ব ২৬ এপ্রিল। আজ, বুধবার তার প্রচার শেষ হয়েছে। এখন অপেক্ষার ৪৮ ঘণ্টা। বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বেঁ💮ধেছে দেশের 🍸তামাম বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। ইন্ডিয়া ব্লক এখন জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে চর্চিত বিষয়। আর এই আবহে ইন্ডিয়া জোটকে নিশানা করে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এই নিশানা করতেই গিয়ে ইন্ডিয়া জোটকে কার্যত ক্ষমতায় নিয়ে এলেন তিনি নিজেই। এটাই এখন জোর চর্চার বিষয়। তাহলে কি প্রধানমন্ত্রী বুঝে গিয়েছেন অঙ্ক কঠিন? ক্ষমতা হারানোর আশঙ্কা করছেন? এই সব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর এটা বিরোধীদের অক্সিজেন জোগাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি ২০০ আসন পার করতে পারবে না। অখিলেশ যাদব একধাপ এগিয়ে বলেছেন, ১৫০ আসন জোগাড় করত পারবে না বিজেপি। আর বিজেপি বলে যাচ্ছে তারা ৪০০ পার করবে। এই আবহে ইন্ডিয়া জোট নিয়ে সরাসরি আ🦋ক্রমণ করে বসলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মুখ থেকে শোনা গেল নয়া ‘ফর্মুলা’। এই বিষয়টি সামনে এনে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘কিছু মিডিয়া রিপোর্টে উঠে এসেছে ইন্ডিয়া জোট একটি ফর্মুলা বানিয়েছে কে প্রধানমন্ত্রী হবে। সেখানে বলা হয়েছে, এরা নাকি ‘এক বছর, এক প্রধানমন্ত্রী’ ফর্মুলা বানাচ্ছে। প্রথম বছর একজন, দ্বিতীয় বছর একজন, এমন করে পাঁচ বছরে পাঁচজন প্রধানমন্ত্রী করা হবে।’
আরও পড়ুন: ‘রাহুল গান্ধী কি নিজেকে⛦ কোনও ম🌠াওবাদী নেতা ভাবেন?’ আক্রমণ করলেন দেবেগৌড়া
তাহলে কি ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসছে? আশঙ্কা থেকেই কি এমন মন্তব্য? মোদীর মন্তব্যের পর ඣএই প্রশ্নগুলি উঠতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতি বুঝতে পেরেই ইন্ডিয়া জোটের ক্ষমতায় আসা এবং প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ভাবনা অলীক স্বপ্ন বলেই ব্যাখ্যা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এই ‘এক বছর, এক প্রধানমন্ত্রী’ মন্তব্য করে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বলে অনেকে মনে করছেন। আর তাই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘এরকম ঘটলে দেশের কী হবে! দেশ কি আর টিকবে? আপনাদের স্বপ্ন কি আর টিকবে? ভাবুন এরা প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিও নিলামে তুলে দিচ্ছে। একজন কুর্সিতে বসলে, চারজন সেই চেয়ারের পায়া ধরে বসে থাকবে। অপেক্ষা করবে কখন এক বছর শেষ হবে।’