সন্দেশখালির মহিলাদের সাদা কাগজে সই করিয়ে ভুয়ো ধর্ষণের মামলা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। পর পর দুটি স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপি নেতা–নেত্রীরা অস্বস্তিতে পড়ে যায়। যেখানে গোটা বিষয়টি সাজানো বলে ব꧋লতে শোনা যায় বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালকে। তাতে নাম উঠে আসে বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাস ওরফে 🅰পিয়ালি দাসের। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আগাম জামিন নিতে যান ওই নেত্রী। কিন্তু তাঁকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয় বসিরহাট আদালত। পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পিকে ৭ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বসিরহাট আদালত।
এদিকে সন্দেশখালি পর্ব–১ এবং পর্ব–২ দুটি ভিডিয়ো ভুয়ো বলে বিজেপি নেতারা দাবি করেছিলেন। এবার এই গ্রেফতারের পর মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিজেপি নেতারౠা। তবে পঞ্চম দফার নির্বাচনের আগে আরও একটি ভিডিয়ো পর্ব–৩ হিসাবে প্রকাশ্যে আসতে পারে বলেཧ মনে করা হচ্ছে। যদিও দুটি ভিডিয়ো’র কোনওটিই যাচাই করে দেখেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। এই পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পির সঙ্গে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল দুই রেখাকে। একজন রেখা পাত্র, বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী। আর একজন রেখা শর্মা, যিনি জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। সুতরাং মাম্পি গ্রেফতার হলে তাঁদের বাইরে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘সৎ🐷 মানুষের কোনও ভয় থাকে না’, পিএ’র বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ খারিজ দেবের
অন্যদিকে সন্দেশখালিতে এই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যেতেই মহিলারা বেরিয়ে এসে বলতে শুরু করেছেন, তাঁদের জোর করে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আর তারপর মিথ্যে ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়। যা তাঁরা জা💞নতেনই না। এই নিয়ে ঘরে বাইরে চাপ বাড়ছিল দেখে আজ, মঙ্গলবার বসিরহাটের মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন পিয়ালি দাস। এই পিয়ালির বিরুদ্ধেই সাদা কাগজে সন্দেশখালির মহিলাদের দিয়ে সই করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। মঙ্গলবার তিনি জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতেই সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিজেপি নেত্রীকে সাতদিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।