লোকসভা নির্বাচন মিটেছꦫে। ঘাম দিয়ে যেন জ্বর ছেড়েছে। এখন যেটুকু টেনশন বা স্নায়ুর লড়াই আছে সেটা নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিয়ে। তার মধ্যে বাড়তি ইন্ধন জুগিয়েছে এক্সিট পোল বা বুথফেরত সমীক্ষা। কেউ এগিয়ে কেউ পিছিয়ে—এসব দেখে অনেকেই নানা চিন্তা করছেন। কিন্তু এত কিছু𒁃র পরও কনফিডেন্ট দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সৌগত রায়। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। তাছাড়া এখান থেকেই বারবার জিতে সংসদে গিয়েছেন। তাই দমদমের বাসিন্দাদের চেনেন তিনি। কাজের নিরিখে এগিয়েও আছেন। তাই ফলাফল নিয়ে বাড়তি চিন্তা তাঁর মধ্যে নেই। আর তাই অস্বস্তিকর গরমে নিজেকে জলের মধ্যে মেলে ধরলেন।
আজ, রবিবার অস্বস্তিকর গুমোট আবহাওয়া রয়েছে সকাল থেকেই। প্রচণ্ড ঘাম হচ্ছে সকলের। এই পরিবেশ থেকে বাঁচতে জলে ডুবে থাকা অত্যন্ত জরুরি। তাই লোকসভা নির্বাচন মিটতেই খোশ মেজাজে দেখা গেল দমদমের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সৌগত রায়কে। রবিবাসরীয় বারবেলায় অন্য মেজাজে ধরা দিলেন তিনি। সুইমিং পুলের পাশে দাঁড়িয়ে জমিয়ে আড্ডা দিতেও দেখা গেল বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে। তবে এই আড্ডায় তিনি নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। বরং ঝাঁপি⛎য়ে পড়লেন সুইমিং পুলের জলে। মেতে উঠলেন জলকেলিতে।
আরও পড়ুন: মিটে গেল 𒆙সমস্যা, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষ꧒েপে শিলিগুড়িবাসীর দুয়ারে পৌঁছল পানীয় জল
আসলে দু’মাস ধরে চলেছে লোকসভা নির্বাচন। তার জেরে সভা–সমাবেশ করতে হয়েছে তীব্র দাবদাহে। প্রত্যেক দফা শেষ হলে করতে হয়েছে হি🉐সেব–নিকেশ। কত আসন এল, আর কটা গেল তা সকলকেই হিসেবে রাখতে হয়েছে। আর সৌগত রায়ের ভোট ছিল শেষ তথা সপ্তম দফায়। বাংলার ৯টি আসনে ভোট হয়। তার মধ্যে ছিল দমদম। সুতরাং গরমের মধ্যেই দমদম চষে বেরিয়েছেন সৌগত রায়। টানা প্রচার চালিয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায়। মানুষের কাছে ছুটে গিয়েছেন নিজের কাজ নিয়ে। এখন নিশ্চিন্ত। আগামী ৪ জুন চোখ রাখবেন টিভির পর্দায়। গণনা ঠিকমতো হচ্ছে কিনা দেখবেন। আর জয় এলে আবার সংসদে পা। তাই বাড়ির কাছের সুইমিং পুলে জলকেলিতে মাতলেন সৌগত রায়।
এমনিতে সৌগত রায় রসিক নেতা বলেই রাজ্য–রাজনীতিতে পরিচিত🍒। অধ্যাপক মানুষ হয়েছেন সাংসদ। একেবারে বাঙালিয়ানা রয়েছে তাঁর মধ্যে। ধুতি–পাঞཧ্জাবি পরতেই দেখেন সকলে। সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত। কিন্তু নির্বাচনের সময় ছিলেন অত্যন্ত সিরিয়াস। এবার সব বেড়াজাল ভেঙে রবিবার সকালে বাড়ির সামনের সুইমিং পুলে ঝাঁপিয়ে পড়েন সৌগত রায়। সাঁতার কেটে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে ছুটির মেজাজে সময় কাটান। তবে ভোটের ফলের অপেক্ষা করছেন।