২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের অন্যতম উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা ছিল চোপড়া। এখন লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে। আর নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে চোপড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হামিদুল রহমান প্রকাশ্যে হুমকি দিলেন জনগণকে এবং ভোটারদের বলে অভিযোগ উঠেছিল। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট না দিলে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাওয়ার পর আমাদের ‘সেন্ট্রাল ফোর্স’ থাকবে এলাকায়। তখন কিছু হলে তাঁর দায়িত্ব আমি নেব না।’ অর্থাৎ ভোট পরবর্তী হিংসার কথা বলেছিলেন বিধায়ক। আর তার জেরে আজ, মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রে𒁏স বিধায়ক হামিদুল রহমানকে শোকজ নোটিশ পাঠান নির্বাচন কমিশন। যা নিয়ে জোর আলোচনা হচ্ছে।
সম্প্রতি দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী গোপাল লামার সমর্থনে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখছিলেন বিধায়ক হামিদুল রহমান। তখন চোপড়া ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের চুয়াগাড়ি চৌরঙ্গী মোড়ের সেই সভায় বিরোধীদের উদ্দেশে হামিদুল রহমান বলেছিলেন, ‘যে বিরোধী ভোটাররা তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না তাঁদের মনে রাখতে হবে ২৬ এপ্রিল ভোটের পর কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাবে। এলাকার বাহিনীর সঙ্গেই তখন থাকতে হবে। তখন কিছু হলে তাঁরা যেন বলতে না আসেন। ম🌌ূল্যবান ভোটগুলি নষ্ট করবেন না।’
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বীরভূমের সভায় লাভ🐠বান কাজল শেখ, ভোট–পর্বের প্রাক্কালে আবার কোর কমিটিতে
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এই বক্তব্যের ভি꧟ডিয়ো তাঁরা পেয়েছেন। আর তা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তারপরই এই শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে স্থানীয় ভোটারদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। ওই ভিডিয়ো থেকে শোনা গিয়েছে, ‘সেন্ট্রাল ফোর্স এখানে ২৬ তারিখ পর্যন্ত থাকবে। তারপর থেকে আমাদ💮ের ফোর্সের সঙ্গে আপনাদের থাকতে হবে। মূল্যবান ভোট নষ্ট করবেন না। বাঁদরামি করবেন না। কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাওয়ার পর কিছু ঘটলে তখন অভিযোগ করবেন না, আমার কী হল।’
গত ১০ এপ্রিল এঅ মন্তব্য করা হয়েছে বলে শোকজ নোটিশে দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন। এই বক্তব্য নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। তাই শোকজ করা হয়েছে। আগামী ২৫ এপ্রিলের মধ্যে এই শোকজের জবাব তলব করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতার এই বক্ত্যবের তীব্র নিন্দা করেছিল বিজেপি। চোপড়ার বিজেপি নেতা বরুণ স🌼িংহ পাল্টা সতর্ক করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে। এই বিধায়ক পঞ্চায়েত সদস্যদেরও উদ্দেশেও কড়া বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, চোপড♐়ার ৯০ শতাংশ বুথে তৃণমূল কংগ্রেস ভোট না পেলে পঞ্চায়েত সদস্যদের বসিয়ে দেওয়া হবে। সেই জায়গায় দলের নেতাদের দিয়ে এলাকার উন্নয়ন করা হবে।