আজ, শুক্রবার গলসিতে বিভেদ মিটে গেল দুই যুযুধান গোষ্ঠীর। এই দুই গোষ্ঠী তৃণমূল কংগ্রেসের। এই গোষ্ঠীর কথা জানতে পেরে বুদবুদের তিলডাঙায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্ষেপ করেছিলেন। তাঁর সেই আক্ষেপের বার্তা কর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। যে কর্মীরা দুই গোষ্ঠীতে বিভক্ত। তবে এই বার্তা পেয়ে গলসিতে দলের যুযুধান দুই ‘গোষ্ঠী’ এবার মিশে গিয়েছে বলে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর। এখন লোকসভা নির্বাচন চলছে। তাই নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ রাখলে আখেরে তাঁদেরই ক্ষতি। দলের যদি খারাপ হয় তাহলে তাঁদেরও খারাপ হবে। নেত্রীর চোখে ভাবমূর্তি একবার পড়ে গেলে তা আবা⛎র ফিরে পাওয়া কঠিন।
এটাই অনুভব করেছে দুই গোষ্ঠী। তাই লোকসভা নির্বাচনে সবকটি আসন তুলে দিতে এখন বদ্ধপরিকর তাঁরা। কোনওরকম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না রেখে নির্বাচনের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে তাঁরা। এদিন সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের 🐟জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়–সহ জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী জনগণের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি জানি আপনারা কিছু মানুষের উপর বিরক্ত। কিন্তু মনে রাখবেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কারও প্রতি বিরক্ত থাকলেও, আপনারা নিশ্চয়ই আমার প্রতি বিরক্ত নন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর প্রতি বিরক্ত নন।’
আরও পড়ুন: হুঙ্কারে কে♍ঁপে উঠল আলিপুর, বিশাখাপত্তনম থেকে চিড়িয়াখানায় সাদা বাঘ আসল
এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো পরিষ্কার করে দিয়েছেন তিনি সবটা জানেন। তাই যাঁদের মানুষ পছন্দ করবে না, তাঁদের তিনিও ভরসা করবেন না। জাকির হোসেন এই মঞ্চে আসেননি। সেটা কেউ মমতার কানে তুলে দেন। তখনই মঞ্চে ডেকে পাঠানো হয় জাকিরকে। আর জাকির মঞ্চে এলে তাঁর কানে কিছু কথা বলতেও দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। মুহূর্তে জাকিরের শরীরী ভাষায় পাল্টে যায়। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার জেলা কার্যালয়ে জাকির এবং দলে তাঁর ‘বিরোধী’ গোষ্ঠী গলসির বিধায়ক নেপাল ঘোড়ুই একসঙ্গে বৈঠক ক🌸রেন। আগামীকাল, শনিবার এই জেলায় সভা করার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই প্রস্তুতি চলছে।
এখন ৪২টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে ব💜েশি আসন জিততে হবে। এই নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে সর্বত্র। তার উপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেক লোকসভা কেন্দ্রে টার্গেট বেঁধে দিচ্ছেন। তা না হলে যে কোপে পড়তে হবে সেটাও বুঝিয়ে দিচ্ছেন। জাকির হোসেন এই বিষয়ে বলেন, ‘আমি কেমন আছি এটাই দিদি খোঁজ নিলেন। নেত্রী আমাকে কিছু বলতেই পারেন। আমি সেটা কি বলে বেড়াব! কোনও দ্বন্দ্ব নেই এখানে। দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ আগেও পালন করেছি। আগামীদিনেও করব। দ্বন্দ্ব মিডিয়ার বানানো। আমাদের লক্ষ্য গলসি বিধানসভা থেকে দলীয় প্রার্থীকে লিড দেওয়া।’ তাহলে কি নেপাল–জাকির দ্বন্দ্ব অতীত? উঠছে প্রশﷺ্ন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর বার্তায় দলে শান্তি ফিরেছে।’