লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে নিজের ভুল স্বীকার করলেন বিরোধী দলনেতার বা🔯বা তথা প্রাক্তন সাংসদ শিশির অধিকারী। তবে এই ভুল স্বীকারের মধ্যে রয়েছে শাসকদলকে খোঁচা। তাই তাঁর স্বীকারোক্তি, তৃণমূল কংগ্রেসে গিয়ে ভুল করেছিলেন তিনি। এখন তাঁর ছেলে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন। নাম—সৌমেন্দু অধিকারী। আগে তিনিও বাবা, দাদাদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসেই ছিলেন। অধুনা সবাই বিজেপিতে। আর কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে জোরদার প্রচার চলছে। ছেলের হয়ে প্রচারে নেমে এই মন্তব্য করলেন🎐 শিশির অধিকারী। এমনকী তৃণমূলে গিয়ে যে ভুল তিনি করেছিলেন তার জন্য জনগণের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিলেন শিশির।
এখন অবশ্য এই কথা বললেও তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটেই বারবার সাংসদ হয়েছেন শিশির অধিকারী। এমনকী কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছিলেন। এখন সপরিবারে বিজেপিতে গিয়ে আগের ভুল স্বীকার করলেও মানুষ কতটা মেনে নেবেন তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ছেলে সৌমেন্দু অধিকারীকে বিজেপি প্রার্থী করার পর শিশির জানান, অনেক আগে থেকেই অধিকারী পরিবার বিজেপিতে চলে গিয়েছিল। তবে এবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তকেই ভুল বলে নিজেকে দুষলেন কাঁথির ব🏅িদায়ী সাংসদ। এই আসন থেকেই ছেলেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তবে তাঁকে জোরদার টক্করের মধ্যে পড়তে হয়েছে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস এখানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে এবং সংগঠন থেকে প্রার্থী করেছে।
আরও পড়ুন: ‘যত ༺আসন তৃণমূল পাবে তত গাছ ঘাটাল লোকসভা জুড়ে লাগাব’, নয়া সিদ্ধান্ত দেবের
একদিন আগেই বুধবার ♕সৌমেন্দু অধিকারীর সমর্থনে কাঁথির রামনগরে একটি নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেন শিশির অধিকারী। সেখানেই বক্তব্য রাখার সময় তৃণমূল কংগ্রেসকে লাগাতার আক্রমণ করেন শিশির। সেখানেই শিশির অধিকারী বলেন, ‘তৃণমূল চোর–ডাকাতে ভরে গিয়েছে। এটা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভোট নয়। এটা দেশ গড়ার ভোট। এত দুর্নীতি, জালিয়াতি আমি অন্য কোনও রাজ্যে দেখিনি। আমি জানি না আমার থেকে বয়স্ক লোক পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে আছে কি না। তৃণমূলে যোগ দেওয়া আমার মস্ত বড় ভুল ছিল। তাই আমি আপনাদের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। সে দিনের ভুলের জন্য আজ বাংলাকে প্রায়শ্চিত্ত করতে হচ্ছে। এটা না করলে আজ বাংলার যুবকদের এই দুর্দশা হতো না।’
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটেই তিন বার সাংসদ হন শিশির অধিকা🍒রী। আর তাঁর এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। তিনিও এই জেলারই মানুষ এবং রাজনীতিবিদ। শিশিরকে আক্রমণ করে অখিল বলেন, ‘ভোট এলেই নাটক করে অধিকারী পরিবার। ওঁর ক্ষমা চাওয়া আসলে নাটক ছাড়া কিছুই নয়। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে শিশির এবং তাঁর তিন ছেলেই এꦗকাধিক সুবিধা নিয়েছেন। মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ, পুরসভার চেয়ারম্যান সব পদই একচেটিয়া দখল করে রেখেছিলেন শিশির। এখন সপরিবারে বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিজেপির গুণগান করছেন। ওই পরিবারের প্রতি সাধারণ মানুষ বিশ্বাস হারিয়েছেন।’