লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। সেক্ষেত্রে তারা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। কিন্তু শরিকদের ⭕সহায়তায় তৈরি হচ্ছে এনডিএ সরকার। এখন আর এটা বিজেপি বা মোদী সরকার বলা যাবে না। সারা দেশেই ফল খারাপ হয়েছে বিজেপির। কিন্তু এই আবহে আজ, রবিবার সন্ধ্যায় শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। আর বাংলা থেকে বিরাট আশা বিজেপি করলেও ১২টি আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। তবে কেন্দ্র বদল করে দিলীপ ঘোষকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। দিলীপও এমনটা মনে করেন। তবে তাঁর জমানার পর রাজ্য বিজেপির গ্রোথ হয়নি বলে দাবি দিলীপের। এবার নাম না করে দিলীপ ঘোষকে ঠুকলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
দলের অন্দরে সবাই কাঠি নিয়ে ঘুরে বেড়ান। ষড়যন্ত্র আর কাঠিবাজি 🦄করেই তাঁকে হারানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন দিলীপ। নাম না করে রাজ্য নেতৃত্বের সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। নিশানায় সুকান্ত–শুভেন্দু। লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকে অন্তর্দ্বন্দ্বে জেরবার বঙ্গ–বিজেপি। জেতা কেন্দ্র মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে বর্ধমান–দুর্গাপুর থেকে দাঁড় করিয়ে হারানো হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। যা মেনে নিতে পারছেন না দিলীপ। তাই রাজ্য নেতৃত্বকে নিশানা করেন তিনি। এবার নাম না করে দিলীপ ঘোষকে পালটা ঠুকলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘এখন লড়াইটা অনেক বেশি কঠিন। সঠিক পথেই চলছি।’
আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হচ্ছেন শান্তনু ঠাকুর, কোন অঙ্কে এনডিএ মন্ত্🍰রিসভায় জা෴য়গা পেলেন?
কিন্𝓡তু পরিসংখ্যান সে কথা বলছে না। দিলীপের জমানায় বারবার সাফল্য এসেছে। ২০১৯ সালে ১৮টি আসন জেতে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি। একুশের বিধাসভা নির্বাচনে দিলীপের নেতৃত্বেই আসে ৭৭ আসন। সেখানে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মাত্র ১২ আসন পেয়েছে বিজেপি। এবার বিতর্কে ঘি ঢালে দিলীপের একটি পোস্ট। সেখানে দিলীপ লেখেন, ‘ওল্ড ইজ গোল্ড। যখন পার্টির বিপর্যয় হয়, তখন পিছনের দিকে তাকাতে হয়। পুরনো কর্মীদের চাঙ্গা করতে। যারা বিজেপিকে জিতিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে নিতে হয়। সেটা ভুলে গেলে তো দলের বিপর্যয় হবেই।’ পালটা সুকান্ত মজুমদার লেখেন, ‘পুরনোদের সঙ্গে নতুনদের চাই’।