কেন্দ্রে বিজেপি সরকার গঠন হয়নি।🔥 হতে চলেছে এনডিএ সরকার। যার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। বাংলাতেও তৃণমূল কংগ্রেস জিতে নিয়েছে ২৯টি লোকসভা আসন। ফলে ভোট এখানেই শেষ। কিন্তু ইন্ডিয়া জোটের সংখ্যাও কিছু কম নয়। তাতে বিড়ম্বনায় পড়তে হতে পারে প্রধানমন্ত্রীকে। কারণ একদিকে শরিক দলের নেতাদের চাহিদা মেটানো অপরদিকে শক্তিশালী বিরোধীদের চেপে ধরা—সব মিলিয়ে চাপ হতে পারে সরকার চালানো বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও তা হবে না বলেই মনে করছেন অনেক বিজেপি নেতা। বিজেপি ২৪০টি আসন পেয়েছে গোটা দেশে। যা ম্যাজিক ফিগার থেকে ৩২ আসন কম। জেডিইউ এবং টিডিপি শরিক হওয়ায় এনডিএ সরকার গড়ে উঠছে। তাও সংখ্যাটা ২৯২।
এদিকে ইন্ডিয়া জোট ২৩২ আসন নিয়ে ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে। এই আবহে মুখে যাই বলুক না কেন বিজেপি নেতারা, চাপ বাড়বে সেটা বুঝতে পারছে সকলেই। তার উপর নীতীশ কুমারের উপর ভরসা করা এককথায় কঠিন। নীতীশ কুমারের দাবি বাড়বে বলে ইতিমধ্যেই জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে চর্চা শুরু হয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেডিইউ নেতা বলেন, ‘নীতীশ কুমার এখন এনডিএ সরকারে আছেন। এমনকী কঠিন সময়ে বিজেপির ভাগ্যকে উদিত করেছে। এখন বিজেপির চিন্তা করা উচিত পুরনো এবং প্রবীণ নেতার সঙ্গে কেমন আ꧃চরণ করবেন। জেডিইউ’র কি প্রাপ্য সেটা কারও কাছে অজানা নয়। গতবার কোনও মন্ত্রী ছাড়াই এনডিএ’তে ছিল জেডিইউ।’
আরও পড়ুন: ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষা থামিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার, কে𒊎ন আটকে গেল?
অন্যদিকে অন্য একজন সিনিয়র নেতা বলেছেন যে, রাজীব রঞ্জন ওরফে লালন সিং, যিনি গতবার আরসিপি সিংয়ের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় উন্নীত হওয়ার পরে বাসটি মিস করেছিলেন এবং পরে অনেক খারাপ রকꩵ্তের কারণ হয়েছিলেন, এবার সময় তার পক্ষে যেতে পারে, যদি সেখানে থাকতে পারে। রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জয় ঝাঁয়ের মতো অন্যান্য সদস্যও সেখানে রয়েছেন। জেডিইউ’র ওই নেতার বক্তব্য, ‘নীতীশ কুমার এখন দলের সভাপতি। তাই তাঁকে মাথা ঠাণ্ডা করে চলতে হবে। নীতীশ কুমারের অন্যান্য দিকেও চোখ থাকতে পারে। মিসা ভারতীর নির্বাচনের কারণে বিহারে একটি রাজ্যসভার আসন খালি হয়েছে। আক আসনটি এখনও চার বছর বাকি থাকতেই খাল হয়েছে। সেই আসনে নজর থাকবে জেডিইউ’র। এমনকী বিহারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিগুলি সেরে ফেলতে পারেন তিনি।’
এছাড়া পরিস্থিতি জটিল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ চন্দ♍্রবাবু নাইডু ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য স্পেশাল স্ট্যাটাস দিতে হবে। সেটা নিয়ে যদিও পরে আলোচনা হবে। কিন্তু সমস্যা তৈরি হলে কপালে ভাঁজ পড়বে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর। তবে চিরাগ পাসওয়াল বলেছেন, ‘আমি কোনও পূর্ণমন্ত্রীর পদ চাইনি। সেটা প্রধানমন্ত্রীর বিষয়। আমি নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চেয়েছিলাম। সেটা হয়ে গিয়েছে। আমি কখনও আমার জন্য কিছু চাইব না।’ ২০২৫ সালে বিহারের বিধানসভা ཧনির্বাচন। তাতে অবশ্য নীতীশ কুমারের কোনও চাপ নেই।