লোকসভা ভোটের রণদামামা বেজে গিয়েছে। ৪ জুন শেষ হাসি কে হাসবে, তার কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে, এরই মাধ্যে অংসগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের মুখে হাসি ফোটাতে কংগ্রেস তৎপর। প্রতিদিনের হিসাবে জাতীয় ন্যূনতম মজুরির অঙ্ক নিয়ে এবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে ছাড়ছে না কংগ্রেস। কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এই নিয়ে সরব হয়েছেন। খাড়গের দাবি, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দিনে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি হবে ৪০০ টাকা। উল্লেখ্য, বর্তমানে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ১৭৬ টাকা রয়েছে।কয়েকদিন আগেই শোনা গিয়েছিল, সম্ভবত ভোটের মুখে মোদী সরকার জাতীয় ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে দিতে চলেছে। এদিকে, সদ্য মল্লিকার্জুন খাড়গে এই ইস্যুতে সরব হয়ে বলেছেন, গত ১০ বছরে মোদী সরকার মজুরির অঙ্ক ১ শতাংশেরও কম বাড়িয়েছে। এই নিরিখে কংগ্রেস বলছে, ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে এই অঙ্ক ইউপিএ সরকার কৃষিক্ষেত্রে বাড়িয়েছে ৮.৬ শতাংশ, আর কৃষিবাদে অন্যান্য ক্ষেত্রে বাড়িয়েছে ৬.৯ শতাংশ। উল্লেখ্য, বিষয়টি নিয়ে সরব হয়ে কংগ্রেসের মুখপাত্র সন্দীপ দীক্ষিত মুখ খুলেছেন, দেশের বেকারত্ব নিয়ে। তিনি দাবি করেছেন, গত ১০ বছরে দেশের বেকারত্বের হার কয়েক গুণ বেড়েছে। সেই নিরিখে তাঁর যুক্তির সপক্ষে সন্দীপ বলেন, ২০১৬ সালে কৃষিকাজে নির্ভর মানুষের হার ছিল ৪১ শতাংশ। তা বর্তমানে গিয়ে ঠেকেছে ৪৭ শতাংশে। কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ বলছেন, ন্যূনতম মজুরির অঙ্কে বৃদ্ধির হার মোদী সরকারের আমলে থমকে গিয়েছে। তাঁর দাবি, এই ক্ষেত্রে বড় মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়াচ্ছে মুদ্রাস্ফীতি। তিনি বলছেন, মজুরি বৃদ্ধির হারে কমতি শ্রমিকশ্রেণির স্বার্থের পক্ষে সায় দেয় না। যে শ্রমিকশ্রেণিকে বারবার মূল্যবৃদ্ধির মতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে রোজ। রমেশের দাবি, এই মূল্যবৃদ্ধি শ্রমিক শ্রেণির জন্য বাড়তি বোঝা হয়ে যাচ্ছে। ভোটের আগে কার্যত অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের মন পেতে কি জোরদার লড়াইয়ে কংগ্রেস? জল্পনা উস্কে দিয়ে, ন্যূনতম মজুরি নিয়ে সরব হয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে থেকে জয়রাম রমেশরা। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের ভোট প্রতিশ্রুতির অঙ্গ হয়ে উঠেছে ‘সুরক্ষিত রোজগার’। এই বিষয়টিকে সামনে নিয়ে যাতে দেশের শ্রমিকশ্রেণির স্বার্থ রক্ষিত হয়, তার দিকে তাকিয়ে কংগ্রেস। কংগ্রেসের দাবি, তারা ক্ষমতায় এলে, মোদী সরকার শ্রমিকবিরোধী যে সমস্ত আইন এনেছে, সেগুলি খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি তার শ্রমিক স্বার্থের বিরোধী আইনের যথাসম্ভব সংস্কারেও কংগ্রেস এগোবে সরকারে এলে। এমনই দাবি পার্টির।