সুভাষ আর ঘরে ফিরবে কিনা তা নিয়ে এবার সংশয় দেখা দিল। বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের কথা এখানে বলা হচ্ছে। তিনি এই কেন্দ্রে আবার নির্বাচিত হবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে সংগঠনের নেতা অরূপ চক্রবর্তীকে। তার উপর ‘গোঁཧজ’ প্রার্থী কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সুভাষের পথে। বাঁকুড়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের ‘বিরোধী’ হিসেবে পরিচিত নেতা–কর্মীদের একটা বড় অংশ নির্দল হিসেবে লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করেছেন। তার মধ্যে অগ্রণী ভূমিকা যিনি গ্রহণ করেছেন তিনি জানিয়ে ๊দিয়েছেন সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে প্রার্থী হবেন। আর তাই সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি।
প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় সুভাষ সরকারের নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে গোঁজ কাঁটা সক্রিয় হয়ে ওঠে। রবিবার বাঁকুড়ার ছাতনার সভা থেকে এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা জানান একদা বিজেপিতে থাকা কিছু নেতা–কর্মী। আর তার অগ্রণী ভূমিকায় দেখা দিলেন বিজেপির প্রাক্তন জেলার নেতা জীব🍬ন চক্রবর্তী। জীবনবাবুর দাবি, ‘নির্দল প্রার্থী হয়ে আমাকে দেখতে চাইছেন বিজেপির বহু কার্যকর্তা। লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়ালে সুভাষের থেকে একটি ভোট হলেও বেশি পাব। উনি তো দলের কর্মীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তাই নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়তে চলেছি। দল যদি এখনও সুভাষের 🍰বদলে অন্য কাউকে প্রার্থী না করে তাহলে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকব।’
আরও পড়ুন: এপ্রিল মাসেই কোচবিহার–বীরভূমে অভিষেক, দিদির গ𓂃্যারান্টি নিয়ে নামছেন সাংসদ–বিধায়করা
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে বাঁকুড়ায়। শুধু তাই নয়, তাঁকে ঘেরাও হতে হয়েছিল এই জেলাতেই। তার মধ্যে এবার উঠে এল গোঁজ কাঁটা। তবে বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। এই বিষয়ে সুভাষ সরকার বলেন, ‘ভো𓂃ট এলে অনেকের লড়াই করার ইচ্ছে হয়। নির্দল প্রার্থী হয়ে কেউ চাইলে দাঁড়াতেই পারেন। তবে এই ভোট দেশের ভোট। দেশের সমস্ত মানুষ প্রধানমন্ত্রী মোদীজিকেই দেখতে চাইছেন। তাই মোদীজির পক্ষেই ভোট হবে। ব্যবধান আগের চেয়েও বাড়বে। কে নির্দলে দাঁড়াল তাতে কিছু যায় আসে না।’