꧑লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে বিজেপি নেতারা শুধুই বেলাগাম আক্রমণ করে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীদের। কোনও যুক্তিগ্রাহ্য ইস্যু মানুষের সামনে তুলে ধরতে না পারলেও লাগাতার আক্রমণ চলছেই। সেখান থেকে বাদ যাননি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিলীপ ঘোষ থেকে শুভেন্দু অধিকারী বেলাগাম মন্তব্য করেই চলেছেন। এবার যাদবপুরে শুভেন্দু অধিকারী প্রচারে এসে বললেন, ‘সেকু আর মাকু দু’দলকে যাতে আমরা একেবারে শেষ করে দিতে পারে তাই অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে প্রার্থী করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। একুশ সালে এই চোরদের সরকার আনার পিছনে সিপিএমের সবচেয়ে বড় অবদান ছিল। সিপিএম সব সভাতে গিয়ে বলেছিল নো ভোট টু মোদী। কোনও সভায় বলেনি নো ভোট টু মমতা।’ অর্থাৎ সিপিএম এবং তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দেখে চাপে পড়েছে বিজেপি। তাই শুভেন্দুর এমন মন্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে।
যাদবপুর থেকে সিপিএম প্রার্থী করেছে সৃজন ভট্টাচার্যকে। নতুন প্রজন্মের ছেলে সৃজন ভাল কথা বলেন। এলাকার ছেলে। পড়াশোনায় ভাল। আবার💦 তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে সায়নী ঘোষকে। যাঁর রাজনৈতিক জ্ঞান আছে। যাদবপুরের মাটিতে কাজ করেছেন। উচ্চশিক্ষিত। আবার অভিনেত্রীও। সুতরাং যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে এই দুই প্রার্থীই ফ্যাক্টর। সেꦇটা বুঝতে পেরেই শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘আমরা বলি অত্যাচারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তাঁর ভাইপোর থেকে রাজ্যকে বাঁচাতে হলে নো ভোট টু মমতা। আমরা বলি কংগ্রেস পরীক্ষিত আর প্রত্যাখ্যাত। সিপিএমও একই। তৃণমূল পরীক্ষিত এবং প্রত্যাখ্যাত হবে। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম সবসময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটের জায়গা থেকে লড়েন। আগে লড়েছেন রায়গঞ্জে, এবারও লড়ছেন মুর্শিদাবাদে। হাতে কাজ পেটে ভাত দেওয়ার রাজ্য দেবে বিজেপি।’
আরও পড়ুন: ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চাপেꦡ আছেন’, প্রার্থ⭕ী দিতে না পেরেও দাবি করলেন দিলীপ
এদিকে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে এই তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন তমলুকের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী꧋ দেবাংশু ভট্টাচার্য। আর তাতেই চরম অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। বহু কষ্ট করে একটা সন্দেশখালি আন্দোলন গড়ে তোলেন বিজেপি নেতারা। সেটা এই তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল। তাতেই𝄹 মেজাজ হারিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বেলাগাম আক্রমণ, ‘দলিতকন্যা গরিব ঘরের মেয়ে রেখা পাত্রের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ছবি দিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে রাজ্য সরকার। ভাতাশ্রীকে বলব, ওটা সরকারের টাকা, তৃণমূলের নয়। একুশ হাজার মদের দোকান বেড়েছে। এই মুখ্যমন্ত্রী মদশ্রী।’