নবম শ্রেণির ছাত্রীকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করার অভিযে💧াগ উঠল সাতজনের বিরুদ্ধে। ওই ছাত্রীর বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তরা সবাই বীরভূমের বাসিন্দা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি–সহ পকসো আইনের নানা ধারায় এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। এখন ওই নাবালিকা ছাত্রী আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি। সেখানেই তার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হবে।
এদিকে আসানসোলের বারাবনি থানার নুনি গ্রাম পঞ্চায়েতের চিনচুড়িয়া গ্রামে রক্ষাকালী পুজো চলছে। তাই সেখানে সাতদিন ধরে মেলা চলছে। এই মেলায় পাশের জেলা বীরভূম থেকে বেশ কয়েকজন এখানে স্টল দিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার মাঝরাতে 🔯গ্রামের ১৫ বছরের নবম শ্রেণির ছাত্রী বাড়ির সামনে শৌচকর্ম করতে যায়। তখন সেখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় সীতজন মেলার হকার গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। শৌচকর্ম করে বাড়িতে না আসায় বাড়ির সদস্যরা নানা জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। মেলা কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করেও কিছু হয়নি। বেশ কিছুক্ষণ পর এলাকা থেকেই নাবালিকাকে বিধ্বস্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নিজের কেন্ܫদ্রেই গো–ব্যাক স্লোগান শুনলেন মহুয়া মৈত্র, মেজাজ হারালেন তৃণমূল প্রার্থী
অন্যদিকে শৌচকর্ম করতে যাওয়ার সময় সাতজন হকার ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে গণধর্ষণ করে তারা। আজ, শুক্রবার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে অভিযান শুরু করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হলেও দু’জন পলাতক। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বাসিন্দারা। থানায় এসে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। বাউরি সমাজের রাজ্য সভাপতি সুমন্ত বাউরি তীব্র নিন্দা করেছেন। অভিযুক্তদের কไড়া শাস্তির দাবি করেন। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (হিরাপুর) ঈপ্সিতা দত্ত জানান, নবম শ্রেণির পড়ুয়ার উপর যৌন নির্যাতন হয়েছে। তদন্ত চলছে। পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।