বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে কে জিতবে? এই প্রশ্ন নিয়ে এখন নানা চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর এমন আবহে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী কার্যত বোমা ফাটালেন। যে সে বোমা নয়, একেবারে মারাত্মক বিস্ফোরক বোমা। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে। আবার বিজেপি প্রার্থী করেছে এলাকার পরিচিত চিকিৎসক নির্মলচন্দ্র সাহাকে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুরে অধীর চৌধুরীকে পরাস্ত করতে 𝐆মাটি কামড়ে পড়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু ত𒁏খনও তৃণমূল কংগ্রেসের মুর্শিদাবাদের পর্যবেক্ষক। কিন্তু শেষে দেখা গিয়েছিল, ৮১ হাজারের বেশি ব্যবধানে বহরমপুর থেকে জয়ী হন অধীর।
এবার বিজেপি বলছে, বহরমপুরে অধীরকে হারাবে। তৃণমূল কংগ্রেসও বলছে, এবার নিশ্চিত পরাজয় হবে অধীর চৌধুরীর। ইউসুফ পাঠানের সভা–সমাবেশে বিপুল সাধারণ মানুষ এসে জড়ো হচ্ছেন। ভিড় উপচে পড়ছে পাঠানের সভায়। যা𝓡 কার্যত মোকাবিলা করা চ্যালেঞ্জের। আর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এখন বিজেপিতে। স্থানীয় চিকিৎসক নির্মলচন্দ্র সাহাকে প্রার্থী করে অধীর চৌধুরীকে পরাস্তℱ করার জন্য জোরকদমে নেমে পড়েছেন তিনি। সুতরাং দুই দলেরই লক্ষ্য, অধীর চৌধুরীকে পরাজিত করা।
আরও পড়ুন: মেট্রোর জেরে যাত্রী൲ সংখ্যা তলান🌄িতে পৌঁছেছে, জলপথ পরিবহণে আয় কমল ২৫ শতাংশ
সেখানে অধীর চৌধুরী বুক চিতিয়ে বহরমপুরের মাটিতে প্রচার করছেন। ভিড় কম হচ্ছে না। সেখানে ভিড় উপচে পড়ছে। ফলে বহরমপুর কার দখলে আসবে? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। অথচ এই দুই প্রতিপক্ষ প্রার্থীর বিষয়ে অধীর চৌধুরী কোনও শব্দই খরচ করছেন না। তবে আজ, সোমবার অধীর চৌধুরী বড় চ্যালেঞ্জ ছু🌳ঁড়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। বহরমপুরের একটানা পাঁচবারের এই সাংসদ বলেন, ‘আমার দুটো স্পষ্ট কথা আছে। এক, বহরমপুরে তৃণমূল হেরে গেলে সেই হার মমতা বন্দ্যোপাধ্যয় নিজের পরাজয় বলে মেনে নেবেন কি? হ্যাঁ বা না’তে বলুন। আর দুই, বহরমপুরে যদি তৃণমূল জিতে যায়, তাহলে আমি রাজনীতি থেকেই অবসর নিয়ে নে🌊ব।’ এই মন্তব্য এখন গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। তাহলে কি অধীর নিশ্চিত যে তিনিই জিতবেন?
কিন্তু বিজেপি সম্পর্কে কোনও কথা বলেননি। কারণ এখানে বিজেপি ফ্যাক্টর নয় বলেই অধীর মনে করেন। ভরা নরেন্দ্র মোদীর হাওয়া যখন ছিল তখনও অধীর চৌধুরীকে হারানো যায়নি। সেখানে এখন বহরমপুরে বিজেপি বাড়লেও সেটা অধীর পর্যন্ত পৌঁছয়নি। অনেকে বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেস আর বিজেপির মধ্যে ভোট কাটাকাটি হবে। তার জেরে বেরিয়ে যাবেন অধীর চৌধুরী। এই অঙ্ককে মাথায় রেখেই এত বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন তিনি। পুরনো কথা মাথায় রেখেই আজ অধীর বলেন, ‘গত লোকসভা নির্বাচনে শুভেন্দুও বলেছিলেন, 🐬আমাকে হারাতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। আমি তখন বলেছিলেন, তুমি রাজনীতি ছাড়বে আবার কি! তুমি তো বাচ্চা ছেলে। হেরে গেলে আমিই রাজনীতি ছেড়ে দেব। এখন 𒀰আমি তো খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ করছি। লুকিয়ে চুরিয়ে বলছি না। মিডিয়ায় সামনে খোলাখুলি বলছি। দম থাকে তৃণমূল এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুক।’