সিতাই কেন্দ্রে নিজের বুথে ভোট দিলেন কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। আর এভাবেই আজ, শুক্রবার সকালে শুরু হয়ে গেল ‘গণতন্ত্রের উৎসব’। প্রথম দফায় বাংলার তিন কেন্দ্র—কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে ভোট শুরু হয়েছে। মহিলা দ্বারা পরিচালিত বুথ রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয় এখন লম্বা লাইনের সাক্ষী। তার মধ্যেই বဣৃষ্টি শুরু হল জলপাইগুড়িতে। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে জলপাইগুড়িতে ছাতা মাথায় দিয়ে ভোট দিতে এসেছেন ভোটাররা। আর তাতেই লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে। সকাল থেকে ভোটদাতাদের লম্বা লাইন বুঝিয়ে দিচ্ছে অঙ্ক খুব কঠিন।
উত্তরবঙ্গের যে তিনটি আসনে আজ ভোট হচ্ছে সেখানে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সব বিজেপি জিতেছিল। তবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের সেই গড় রক্ষা করাই চ্যালেঞ্জ বিজেপির কাছে। কারণ, গত লোকসভা নির্বাচনের আগে যে প্রতিশ্রুতির দিয়েছিল বিজেপি তার অধিকাংশই অধরা থেকে গিয়েছে। বিজেপির এই ‘ব্যর্থতা’ তৃণমূল কংগ্রেসের ‘তুরুপের তাস’। তার সঙ্গে মমতা ꦡবন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের একগুচ্ছ জনমুখী প্রকল্প এখানে বড় হাতিয়ার হয়ে রয়েছে। হারানো জমি ফিরে পেতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তরবঙ্গের এই তিন জেলায় জনসংযোগ করেছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে এসে সভা করে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আরও পড়ুন: বিজেপির ‘দ্বিতীয় বিকল্প’ তৃণমূল কংগ্রেস, নতুন লাইন𓄧ে পুরনো ছꦿন্দে হাঁটল বামফ্রন্ট
তার উপর এই উত্তরবঙ্গ জেলায় একাধিক কাজ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। এমনকী সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে যাঁদের ঘর প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল তাঁদের অ্যাকাউন্টে বাড়ি তৈরি টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পꦫ্রভাব পড়েছে আলিপুরদুয়ারেও। কোচবিহারে তেমন বড় কিছু ঘটেনি। তবে নিশীথ প্রামাণিকের কাজ না করা নিয়ে স্থানীয় মানুষজন ক্ষুব্ধ। আজ যে লম্বা লাইন পড়েছে তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ রাজ্যের এই তিন জেলার ৫৬ লক্ষ ২৬ হাজার ১০৮ জন ভোটার তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করছেন। প্রত্যেক বুথেই আছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস কিছু জায়গা পুনরুদ্ধার করেছে। উত্তরবঙ্গের এই তিন আসন দখলে💦 মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। অঙ্ক কঠিন বুঝতে পেরেই বিজেপি অলআউট খেলতে নেমেছে। ভোটের দিন আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল দিনহাটার ভেটাগুরি। দিনহাটা ১–বি ব্লক সভাপতিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত ব্লক সভাপতিকে দেখতে হাসপাতালে এলেন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। হাসপাতাল থেকেই নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। নির্বাচন কমিশনকে নিশীথ প্রামাণিক চিঠি লিখে উদয়ন গুহর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করেছেন তিনি। তবে ভোটারদের লম্বা লাইনের ভিড় কাকে চাপে ফেলে সেটা জানা যাবে ৪ জুন।