এবারের লোকসভা নির্বাচনে একটু অন্য পথে হাঁটছে সিপিএম। আর সেটা বোঝা গেল, বামেদের ইস্তেহার প্রকাশের সময়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি–তৃণমূল কংগ্রেসকে একসঙ্গে আক্রমণ করতে গিয়ဣে শব্দবন্ধ তৈরি করেছিল ‘বিজেমূল’ বলে। তবে বাংলার মানুষ তা মানেননি। তাই নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গিয়েছিল সিপিএম এবং কংগ্রেস শূন্য পেয়েছে। যা রাজ্য–রাজনীতির ইতিহাসে আগে ঘটেনি। রাজ্য বিধানসভায় একটি প্রতিনিধিও নেই। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েছে সিপিএম। তাদের পর্যালোচনায় পরে স্বীকার করেছিল, বিজেপি–তৃণমূল কংগ্রেসকে এক করে দেখানো উচিত হয়নি। তাই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে একটু অন্য পথে হাঁটল রাজ্য বামফ্রন্ট। তবে মানে সেই একই।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্র♛ত্যেকটি সভা–সমাবেশ থেকে বলছেন, বাংলায় কোনও জোট হয়নি। তবে সর্বভারতীয় স্তরে তা হয়েছে। বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস একমাত্র মুখোমুখি লড়াই করছে বিজেপির বিরুদ্ধে। সিপিএম–কংগ্রেস ভোট কেটে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে চাইছে। পাল্টা বৃহস্পতিবার বামফ্রন্ট রাজ্যবাসীর উদ্দেশে তাদের রাজনৈতিক আবেদনপত্র প্রকাশ করে উল্লেখ করেছে, ‘তৃণমূল–বিজেপি কেউ কারও বিরোধী বিকল্প নয়। বরং বিজেপির দ্বিতীয় বিকল্প হয়েই তৃণমূল কংগ্রেস এখানে কাজ করছে। নিজেদের দুর্নীতির জেরে তৃণমূল কংগ্রেস সমঝোতার করে চলছে বিজেপির সঙ্গে। বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গে জমি ছেড়ে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।’
আরও পড়ুন: ‘পানীয় জলের অপচয় করা ঠিক নয়’, ম♕াসিক অধিবেশনে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন❀ মেয়র
এদিকে আজ, 𓄧শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। আজ কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে ভোট হচ্ছে। বিজেপির ‘দ্বিতীয় বিকল্প’ তৃণমূল কংগ্রেস। এটাই তুলে ধরেছেন বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, নরেন চট্টোপাধ্যায়, স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ অন্যান্যরা। ‘বি–টিম’ সরাসরি না বলে ‘দ্বিতীয় বিকল্প’ বলে উল্লেখ করেছেন বাম নেতারা। কারণ ‘বিজেমূল’ লাইন খারিজ করে দেয় সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি। তাই নতুন শব্দবন্ধ নিয়ে এবার হাঁটল সিপিএমের নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট। তবে কতটা লাভ হবে সেটা ৪ জুন বোঝা যাবে।
অন্যদিকে মোদী সরকার–মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের নীতিকে বিঁধেছে বামেরা। অবিজেপি রাজ্যে ইডি–সিবিআই–আয়কর দফতরকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই অভিযোগ তোলে দেশের তামাম বিরোধীরা। বাংলাতেও ইডি, সিবিআই হেনস্থা করেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। সেখানে বামেরা অন্য রাজ্যে ইডি, সিবিআইয়ের প্রতিহিংসার অভিযোগ তুললেও বাংলার কথা উল্লেখ করেনি। আবার তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্তেহারকে বিমানবাবুর কটাক্ষ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ꧃শান্তনু সেন বলেন, ‘৩৪ বছরের অত্যাচারী সিপিএম সরকারকে সরিয়ে বাংলায় শান্তি ফিরিয়েন মমতা বন্দ্যোপ🐻াধ্যায়। তিনি যা প্রতিশ্রুতি দেন সেটা বাস্তবে পরিণত হয়। বহু সিপিএম পরিবার রাজ্য সরকারের দেওয়া সুবিধা উপভোগ করছেন। বিমানবাবু, আপনার দলের কমরেডদের কাছ থেকে সেই ফিরিস্তি আগে নিন তারপর সমালোচনা করবেন।’