পারমাণবিক নীতিতে বদল আনল রাশিয়া। মঙ্গলবার সেই নয়া ও পরিবর্তিত নীতিসমূহে অনুমোদন দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে - 'পরমাণু প্রতিরোধ সংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় নীতির মৌলিক নিয়মাবলী'।♈ এবার থেকে এই নয়া নিয়ম অনুসারেই নিজের পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডা൩র নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করবে মস্কো।
এই নয়া নীতি বা নিয়মাবলীতে বলা হয়েছে - যদি পরমাণ♛ু শক্তিধর নয়, এমন কোনও দেশ, অন্য কোনও পরমাণু শক্তি সম্পন্ন রাষ্ট্রের সাহায্যে রাশিয়ার উপর ꦓহামলা চালায়, তাহলে সেই আক্রমণকে রাশিয়ার উপর যৌথ হামলা হিসাব গণ্য করা হবে।
সংশ্লিষ্ট নীতিতে বদল আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল গত সেপ্টেম্বর মাসে। কিন্তু, সেই বদল অনুমোদিত হল মঙ্গলবার। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, মঙ্গলবারই ইউক্রে▨ন-রাশিয়া যুদ্ধের💟 ১,০০০ দিন পূর্ণ হয়েছে।
লক্ষ্যণীয় বিষয় আরও রয়েছে। রাশিয়ার নীতি পরিবর্তন তখনই কার্যকর করা হল, যার ঠিক আগেই আমেরিকার বাইডেন প্রশাসন তাদের নীতিতে কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসে। যার মাধ্যমে ইউক্রেনকে মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়া ও উত্তর কোর𓆉িয়ায় হামলা চালানোর ছাড়পত্র প্রদান করেন আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এদিকে, আগামী জানুয়ারি মাসেই হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট হয়👍ে ফিরবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যিনি ইতিমধ্যেই ইউক্রেনকে যুদ্ধে সাহায্য করার বিষয়ে রাশ টানার কথা জানিয়ে রেখেছেন।
রাশিয়ার সরকারি আধিকারিকদের সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হচ্ছে, এবার থেকে যেকোনও বৃহৎ হামলা - তা সে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হ🙈তে পারে, ড্রোন হামলা হতে পারে, কিংবা কোন💛ও বিমানের সাহায্যে হামলা হতে পারে - সেসবেরই জবাব হিসাবে রাশিয়া পালটা পরমাণু আক্রমণ চালাতে পারে! এমনকী, রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসাবে পরিচিত বেলারুশের উপরেও যদি এমন কোনও হামলা হয়, তাহলে তাও রাশিয়ার উপর হামলা হিসাবেই গণ্য করা হবে।
সর্বো📖পরি, যেকোনও গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত যেকোনও একটি দেশও যদি রাশিয়ার উপর হামলা করে, তাহলে তা ওই সমগ্র গোষ্ঠীর দ্বারা আক্রমণ হ🦩িসাবেই গণ্য করা হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও পরমাণু হামলা চালানোর হুমকি🔜 দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। যদিও রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রী সেরগেই ল্যাভরভের দাবি, পরমাণু যুদ্ধ ঠেকাতে যা যা করার, সেসবই তাঁরা করবেন!
রিও দি জেনেরোয় আয়োজিত জি-২০-এর বৈঠকে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দেশের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল রাশিয়া। সেখানে ল🙈্যাভরভ দাবি করেন, 'স্পষ্টভাবেই আমরা বলেছি, আমরা পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার পথে এগিয়ে চলেছি।'
এই প্রেক্ষাপটে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রাশিয়꧋ার এই নয়া পরমাণু নীতিগুলি 'গভীরভাবে বিশ্লেষণ' করতে হবে। এবং এটি একটি 'অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি'।