ভূপতিনগরে এনআইএ’র কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনা এবং তাদের গাড়িত🌱ে হামলার ঘটনায় রাজ্য–রাজনীতি এখন উত্তাল। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই ঘটনায় সরগরম হয়ে উঠেছে বাতাবরণ। বিজেপির পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারী বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করেছেন। তাঁর নানা জনসভা থেকে করা মন্তব্যে প্ররোচনা ছিল। এনআইএ’র উপর হামলা সেটার জেরেই। তবে নির্বাচনী জনসভা থেকে এই ঘটনার জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপিকে কুণাল ঘোষ তুলোধনা করলেন। আর তাতেই লোকসভা নির্বাচনের আগে তেতে উঠল রাজনীতির ময়দান।
আজ, শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনไগরে বিস্ফোরণ মামলার তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হলেন এনআইএ’র অফিসাররা। তাতে দু’জন আহত। পাথর ছুড়ে ভাঙা হয় তাঁদের গাড়ির কাচ বলে অভিযোগ। এনআইএ’র দাবি, ভূপতিনগর বিস্ফোরণ মামলায় আজ ভোরে আটক করে নিয়ে আসার সময় তাঁদের অফিসারদের উপর কয়েকজন চড়াও হন। গাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। পাথর ছুড়ে ভেঙে দেওয়া হয় গাড়ির কাচ। তবে দুই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করে এনআইএ। এই গোটা ঘটনাকে অনভিপ্রেত বললেও কুণাল ঘোষ বিজেপির প্ররোচনা এবং রাজনীতি রয়েছে পিছনে বলে মনে করেন। আর তাই লিখেছেন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, এনআইএ মহিলাদের উপর হামলা করেছিল। মহিলারা কোনও হামলা ক🉐রেনি। নিজেদের ইজ্জত বাঁচাতে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন বাংলার মা–বোনেরা। মাঝরাতে কেন তাঁরা গিয়েছিলেন? স্থানীয় পুলিশকে কেন জানিয়ে যাননি? এসব প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সুতরাং বিরোধী দলগুলি যতই এই ঘটনাকে নিয়ে চেঁচামিচি করুক মহিলাদের সম্মানটাই এখানে প্রাধান্য পেয়েছে।✱ তারপর গোটা ঘটনা নিয়ে কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়ে দেন, এটা মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভ। কারণ মানুষ জানে বিজেপি নেতারা গোপন বৈঠক করে ছিলেন এনআইএ আধিকারিকদের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: ছোট্ট বি💙রতির পর🐓 মাঠে ফিরলেন পাঠান, মাটি কামড়ে চালাচ্ছেন ঝোড়ো প্রচার
অন্যদিকে এই বিজেপি নেতারাই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা–কর্মীদের নামের তালিকা দিয়ে♚ আসেন বলে দাবি কুণালের। এই নিয়ে আগে এক্স হ্যান্ডেলে গোটা ঘটনা ফাঁস করে ছিলেন তিনি। এবার ভূপতিনগরের ঘটনা নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘ভূপতিনগরের ঘটনা অনভিপ্রেত। কিন্তু, এর পেছনে বিজেপির রাজনীতি ও প্ররোচনা। যেহেতু মানুষ জানেন বিজেপি নেতারা এনআইএ’র সঙ্গে দেখা করে তৃণমূল কর্মীদের তালিকা দিয়ে এসেছিলেন, তাই সবাই চক্রান্তটা জানেন। স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভ। কোর্টকꦿে সামনে রেখে এলাকা থেকে তৃণমূল কর্মীদের সরাতে মিথ্যা অভিযোগে নাম দিয়ে এনআইএ দিয়ে সরাতে চাইছে বিজেপি। মানুষ বাধ্য হয়ে প্রতিবাদ করেছেন। বিজেপি পরিকল্পিতভাবে গোলমাল করাতে চাইছে।’