൲ আর হাতে তিনদিন। তারপরই লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হবে। সুতরাং এখন জোরদার প্রচার শুরু হয়েছে গ্রামবাংলার ময়দানে। শাসক–বিরোধী কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ছে না। এই আবহে এবার বিরোধী পক্ষ থেকে সেমসাইড গোল করে বসল। আর তাতেই তৃণমূল কংগ্রেস এখন তুমুল হাসাহাসি শুরু করেছে। বিজেপি প্রার্থীর প্রচার মিছিলে এমন স্লোগান উঠতে পারে তা কেউ কল্পনাও করতে পারছেন না। তবে বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং শুরু হয়েছে। আর তাতে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দেবাশিস ধর ও জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহাকে।
🍷বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? শনিবার সন্ধ্যা গড়িয়ে যখন রাত নামতে চলেছিল তখন প্রচার চালিয়ে যাচ্ছিল বিজেপি। রামপুরহাট শহরে হুড খোলা জিপে করে র্যালিতে ছিলেন বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। হাত নাড়িয়ে পথচারীদের উদ্দেশে সমর্থন চান বিজেপি দেবাশিস ধর। কর্মীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। ঠিক তখনই বিজেপি কর্মীরা সমস্বরে স্লোগান দেন, ‘‘ভোট ভোট ভোট দিন, জোড়াফুলে ভোট দিন।’ বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে যান প্রার্থী ও জেলা সভাপতি। চিৎকার করে তাঁদের থামাতে শুরু করেন। এই প্রচারে মাইক থাকায় সেই স্লোগান চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এই স্লোগান শুনে অবাক হন স্থানীয়রা। এই অস্বস্তি কাটাতে বিজেপির জেলা সভাপতি দাবি করেন, ‘যাঁরা এসব স্লোগান দিয়েছেন, তাঁরা তৃণমূলের লোক।’
আরও পড়ুন: 𝔉‘কোনও বিজেপি নেতার হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালানোর সাহস হয়েছে?’ তোপ মমতার
🧔এদিকে এই স্লোগানের সঙ্গে ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কয়েকটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও ছড়িয়ে পড়েছে। নববর্ষের দিনে সেটা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়। অনেকেই হাসাহাসি করে বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারে এতটাই ঝড় উঠেছে যে, বিজেপির কর্মীরাও নিজেদের স্লোগান ভুলে গিয়েছেন। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। আবার অনেকে বলেছেন, মন তৃণমূলে আছে। আর শরীর বিজেপিতে। এই ঘটনা আজ, সোমবার এলাকার চায়ের দোকান এবং পাড়ার মোড়ে মজাদার আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে।
🌱অন্যদিকে এই ভিডিয়ো দেখেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শতাব্দী রায়। তিনিও খুব জোর হেসেছেন এই ঘটনা দেখে। আর শতাব্দী রায় বলেন, ‘ওদের কর্মীরাই যদি প্রচারে বলেন, জোড়া ফুলে ভোট দিন, তাহলে তো বোঝাই যাচ্ছে, ওদের কর্মীরা তৃণমূলের সঙ্গেই আছেন। আমাদের দলের নেতা–কর্মীরা সকলেই এই বিষয়ে খুশি।’ তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘বিজেপির প্রচারে লোক হচ্ছে না। টাকা–কড়ি দিয়ে ওদের লোক ভাড়া করতে হচ্ছে। যাঁদের ভাড়া করে আনা হচ্ছে প্রচারে তাঁদের মুখ দিয়ে আসল কথা বেরিয়ে যাচ্ছে। ট্রেনিং ঠিক হয়নি। প্রার্থীও বুঝতে পারছেন, যতই প্রচার করা হোক বাংলার মানুষ সিঙ্গল ফুল নয়, জোড়াফুলেই ভরসা রাখবেন।’