কোচবিহারের নির্বাচনী সভায় পুলিশ–বিএসএফ–নিশীথ গোপন আঁতাতের কথা আজ বলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এখানের সব পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেননি মুখ্যমন্ত্রী। হাতেগোনা তিন চারজন পুলিশ এই কাজ করছেন বলে তাঁর অভিযোগ। তাই দিনহাটার এই জনসভা থেকে সেইসব পুলিশ অফিসারদের কড়া বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুঝিয়ে দিলেন তাঁর কাছে সব খবꦉরই আসে। কিন্তু তিনি সব কথা বলেন না। গোলমাল তৈরি করে বিএসএফকে দিয়ে ভোট করিয়ে নিতে পারেন কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। নির্বাচনী প্রচারে এসে কোচবিহারে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোটগ্রহণ এই লোকসভা কেন্দ্রে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বিজেপির প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক বাইক বাহিনী নিয়ে এলাকায় ত্রাস তৈরি করেছেন। কিন্তু প্রশাসন দেখেও পদক্ষেপ করছে না। তাই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দুঃখিত, প্রশাসন সব দেখেও চুপচাপ বসে আছে। কিসের ভয়? চাকরি যাবে? ইলেকশন কমিশন সরিয়ে দেবে? তাহলে দু’মাস বাদে কী করবেন? তার থেকে এখনই দিল্লি চলে যান না। কে বারণ করেছে। হয় দিল্লি যান, না হল༒ে নিশীথের বাড়ি চলে যান। তা হলে আর আপনাদের আইনশৃঙ্খলা সামলাতে হবে না।’
আরও পড়ুন: ‘🎃বিধানসভা–পুরসভায় মানুষের পছন্দের প্রার্থী হবে’, জলপাইগুড়ির সভায় দাবি অভিষেকের
অন্যদিকে রাজ্য প্রশাসনকেও লোকসভা নির্বাচন নিয়ে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘প্রশাসনকে বলব, এখানে ১৯ এপ্রিল ভোট। ১৭ ত✱ারিখ বিকেল ৫টার পর এখানে যেন একটাও মিছিল–মিটিং না হয়। বাইক বাহিনীকে যদি অ্যালাও করেন, বিএসএফের সঙ্গে যোগসাজশ করেন, তাহলে মনে রাখবেন আমজনতা আপনাকেও একদিন বিতাড়িত করবে। আপনাদের ছেড়ে কথা বলবে না। মাথা ঠান্ডা রাখুন। শান্তি বজায় রাখুন। আমি দুঃখিত, প্রশাসন সব দেখেও চুপচাপ বসে থাকে। কিসের ভয়? চাকরি যাবে? ইলেকশন কমিশন সরিয়ে দেবে? তাহলে দু’মাস বাদে কী করবেন? তার থেকে এখনই দিল্লি চলে যান না। কে বারণ করেছে। হয় দিল্লি যান, না হলে নিশীথের বাড়ি চলে যান। তা হলে আর আপনাদের আইনশৃঙ্খলা সামলাতে হবে না। কোচবিহারে যদি আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোনও সমস্যা হয়, আমি কিন্তু ছেড়ে কথা বলব না।’