রামকৃষ্ণ মিশন এবং ভারত সেবাশ্রমের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, এই দুই সাধু সঙ্ঘের কেউ কেউ 'সরাসরি রাজনীতি' করছেন। এই নিয়ে তিনি সরাসরি সাধুর নাম নিয়ে নির্বাচনী জনসভা থেকে আক্রমণ শানান। শনিবার আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগের সমর্থনে গোঘাটে এক জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। এরপরে আবার এই নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী পালটা আক্রমণ শানান মমতাকে। (আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের মাথায় পড়ল বাজ, খুশির খবর শুনিয়েও নির্🧸দেশিকা বাতিল ভোটের মাঝে)
আরও পড়ুন: 'অনেক বাড়বে', স♌রকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, ভোটের মাঝে ডিএ নিয়ে বড় ঘো💝ষণা মমতার
উল্লেখ্য, ন꧑ির্বাচনী জনসভা থেকে বাম জমানায় গোঘাটে সন্ত্রাসের বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় বামেদের হামলায় আক্রান্তদের কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মিশন সাহায্য করেছিলেন বলে জানান মমতা। তবে এরপরই 'আজকের দিনের সাধুদের' নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, 'সব সাধু এক হন না। সব স্বজন সমান হয় না। আমাদের মধ্যেও কি আমরা সবাই সমান? এই যে বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। আমি শুনেছি অনেক দিন ধরে... কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার শ্রদ্ধার তালিকায় তারা দীর্ঘদিন ধরেই আছেন। কিন্তু যে লোকটা বলে, তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্ট বসতে দেব না... সেই লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তার কারণ, সে সরাসরি রাজনীতি করে দেশটার সর্বনাশ করছে।'
এরপর মমতা আরও বলেন, 'কে কে এই সব করছে, আমি তাদেরඣ চিহ্নিত করছি। আমি রামকৃষ্ণ মিশকে কোন সাহায্যটা করিনি। সিপিএম যখন খাবার বন্ধ করে দিয়েছিল, তখন আমি সমর্থন করেছিলাম আপনাদের। সিপিএম কিন্তু তখন আপনাদের কাজ করতে দেয়নি। আর আসানসোলে একটি রামকৃষ্ণ মিশন আছে... দিল্লি থেকে নির্দেশ আসে। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য বলা হয়। কেন সাধুরা এই কাজ করবেন? রামকৃষ্ণ মিশনকে সবাই সম্মান করে। ওদের যারা মেম্বার হয়, দীক্ষা নেয়, তারা আছে। তাদের আমি ভালবাসতে পারি। আমি দীক্ষা নিতে পারি। কিন্তু রামকৃষ্ণ মিশন ভোট দেয় না কোনও দিনও। এটা আমি জানি। তা হলে আমি অন্যকে কেন ভোট দিতে বলব? মনে রাখবেন, স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িটাই থাকত না, আপনাদের এই মেয়েটা যদি না থাকত।'
মমতার এই বিস্ফোরক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অবশ্য শুভেন্দু অধিকারী পালটা তোপ দেগেছেন। তিনি বলেন, 'ইমামꦯেরা আবেদন করতে পারেন আর কার্তিক মহারাজ প্রতিবাদ করলে অসুবিধা? বিজেপির কোনও মঞ্চে তাঁরা ছিলেন না। তাঁরা বাংলায় সনাতন হিন্দুদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদ করেন।'