মনোনয়ন বাতিলকে চ্যালেঞ্জ করে সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সুরাহা পেলেন না অবসরপ্রাপ্ত🐻 IPS দেবাশিস ধর। দ্রুত মামলার শুনানি করতে অস্বীকার করল কলকাতা হাইকোর্ট। এর ফলে দেবাশিস ধরের প্রার্থীপদ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেল। তবে বিজেপির দাবি, দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল বেআইনি।
আরও পড়ুন: আজ মনোনয়ন জমা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের, ইসꦚ্তফা দিলেন শ্রীরামপুরের পুরপ্রধান, কেন?
পড়তে থাকুন: ল😼োকসভা ভোটে EVM'র সাথে VVPAT'র ১০০% ভোট মিলিয়ে দেখা হবে? রায়দান করে🗹 কী জানাল সুপ্রিম কোর্ট
কেন বাতিল মনোনয়ন?
গত মঙ্গলবার সিউড়িতে মনোনয়ন পেশ করেন বীরভূম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর। লোকসভা ভোটের মুখে IPSএর চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন তিনি। বিজেপি প্রার্থী হিসাবে তিনি মনোয়ন পেশ করলেও IPS পদে তাঁর ইস্তফা এখনও 🐭গ্রহণ করেনি রাজ্য সরকার। ফলে শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রার্থীপদ গ্রাহ্য হবে কি না তা নিয়ে ধ𓄧োঁয়াশা তৈরি হয়। তবে প্রার্থীপদ ঘোষণার পর থেকেই জোর কদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছিলেন দেবাশিসবাবু। কিন্তু তাঁর প্রার্থীপদ নিয়ে সংশয় তৈরি হওয়ায় বৃহস্পতিবার বিজেপির টিকিটে ওই কেন্দ্রে মনোনয়ন পেশ করেন দলের পুরনো নেতা দেবতনু ভট্টাচার্য। শুক্রবার জানা যায় ‘নো ডিউ’ সার্টিফিকেট জমা না দেওয়ায় দেবাশিসবাবুর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
দ্রুত শুনানি করতে নারাজ আদালত
এর🍎 পর হা🔯ইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে একক বেঞ্চে দ্রুত শুনানির আবেদন করেন দেবাশিসবাবুর আইনজীবী। সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি। এর পর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তিনি। সেখানে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘পদ্ধতি মেনে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করলে সোম বা মঙ্গলবার শুনানি হতে পারে।’
আরও পড়ুন: '২৬ হাজার পরিবারের সুখ ছিনিয়🍨ে নিল TMC-র দুর্নীতি', মোদীর মুখে SSC রায়
দেবাশিসবাবুর মনোনয়ন বাতিলকে বেআইনি বলে দাবি করেছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘অসহায়তা, অসহিষ্ণুতা, প্রতিহিংসা পরায়ণ♑ রাজনীতির আর একটি নজির স্থাপন করল তৃণমূল কংগ্রেস। আগের থেকে তৈরি একটা নোটিশকে আইনের আওতায় এনে অবসরপ্রাপ্ত IPS-এর প্রার্থীপদ বাতিল করল বীরভূম জেলা প্রশাসন। আজই আমরা হাইকোর্টে যাচ্ছি। নো ডিউ সার্টিফিকেট দেখিয়ে কোনও প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা যায় না। এটা ৯ এপ্রিল ২০২৪-এর সুপ্রিম কোর্টের রায়। আমরা সেটার উপর ভিত্তি করেই হাইকোর্ট যাচ্ছি। নো ডিউ সার্টিফিকেট জমা না পড়ার কারণ দেখিয়ে কার♉ও প্রার্থী পদ বাতিল করা যায় না। ডিউ আছে কি না সেটা থেকেও বড় প্রশ্ন কোনও ডিমান্ড পেশ করা হয়েছে কি না দেবাশিষ ধর এর কাছে।’
দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল নিয়ে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় বলেন, ‘বিরোধী দল হলেও ওনার মনোয়ন বাতিলে আমার খারা♚প লাগছে। প্রত্যেকের নির্বাচন লড়ার একটা মানসিক প্রস্তুতি থাকে। উনি প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। তবে ওদের কে প্রার্থী হল তাতে আমার জয়ে কোনও প্রভাব পড়বে না।’