সিএএ লাগু হয়েছে গোটা দেশ জুড়ে। এদিকে এবার প্রথম থেকেই সিএএ-র বিরোধিতা করছে রাজ্য়ের শাসকদল বিজেপি। তবে এবার ভোট প্রচারে এসে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং রবিবার বেশ জোরের সঙ্গে জানিয়েছেন, বিজেপি তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে। বাংলার সিএএ লাগু করার থেকে কেউ আটকাতে পারবে না। তিনি বলেন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ কারোর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার বিষয় নয়। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে যারা চলে এসেছিলেন তাদেরকে নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন হল এটি। মালদা উত্তরে খগেন মুর্মুর হয়ে প্রচারে এসে রাজনাথ সিং বলেন, কংগ্রেস, তৃণমূল ও বিজেপি ভোটের সময় যে প্রতিশ্রুতি দেয় সেটা মানে না। কিন্তু বিজেপি তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। তিনি বলেন, মমতা দিদি বলছেন তিনি তাঁর রাজ্য়ে সিএএ লাগু করতে দেবেন না। কেন তিনি বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছেন? আন্তর্জাতিক আঙিনায় ভারতের অবস্থান সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, যখন আন্তর্জাতিক ফোরামে আমরা কিছু বলি সেটা অত্যন্ত মান্যতার সঙ্গে শোনা হয়। তিনি বলেন, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটা উন্নত দেশ হিসাবে গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ, রাম মন্দির তৈরি করা,এই সব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠার দিকে আমরা এগোচ্ছি। তিন তালাক রদের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, আমাদের দেশের মধ্য়ে কোনও জঙ্গি এলে তাকেই ভারত নিকেশ করে এমনটা নয়, শিক্ষা দেওয়ার জন্য় সীমান্তের ওপারে যাওয়ার সাহসও আমাদের আছে। এদিকে সম্প্রতি একটি সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, '২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সিএএ-র ঘোষণা করে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং মতুয়া, নমশূদ্র, উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু পাঁচ বছর আগে পাশ হওয়া বিল নিয়ে নিয়মাবলী লোকসভা নির্বাচনের আগেই ঠিক করার নেপথ্যে বিজেপি-র রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে।'অসমের প্রসঙ্গ তুলে বলেছিলেন, 'অসমে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম উঠেছে, যার মধ্যে ১২ লক্ষ হিন্দু বাঙালি রয়েছেন। তাঁদের বন্দি শিবিরে পাঠানো হয় যাঁর নেতৃত্বে, তাঁকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করেছে বিজেপি। যাঁরা প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক নির্বাচন করেন ভোট দিয়ে, তাঁদের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হবে কেন। বিজেপির কতজন নেতা সিএএ-তে আবেদন করেছেন?'