কেন্দ্রে বিজেপি সরকার গঠন হয়নি। হতে চলেছে এনডিএ সরকার। যার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। বাংলাতেও তৃণমূল কংগ্রেস জিতে নিয়েছে ২৯টি লোকসভা আসন। ফলে ভোট এখানেই শেষ। কিন্তু এবার প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। সেটাকেও স্মরণীয় করে রাখতে হবে। তাই প্রতিবেশী দেশ এবং বিদেশ থেকেও আসতে চলেছে রাষ্ট্রনেতা–নেত্রীরা। শনিবার নয়াদিল্লি আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার সন্ধ্যায় শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী।♓ অন্যান্য দেশের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীই আগে ভারতে আসছেন। এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংঘে।
এদিকে শনিবার দুপুরেই নয়াদিল্লি পৌঁছে যাবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে রবিবার সকালে আসছেন। মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজু আসছেন। নেপালের প্রধানমন্ত্রী পিকে দহাল ’প্রচণ্ড’ আসছেন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। ২০১৪ সাল থেকেই সার্কভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হয় নরেন্দ্র মোদীর। এবার প্রতিবেশী দেশগুলির রাষ্ট্রনেতাদের নয়াদিল্লিতে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। তবে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তা꧒নকে ডাকা হয়নি বলে সূত্রের খবর। রাষ্ট্রপতি ভবন রাইসিনা হিলসে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে।
আরও পড়ুন: হুগলিতে একের পর এক তৃণমূলের প্রধান–উপপ্রধানের পদত্যাগ, রচনার জয়ের পর꧅ নয়া নাটক
অন্যদিকে নতুন এনডিএ সরকার গঠন হওয়ার পর একগুচ্ছ বিদেশ সফর রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। জুন মাসের ১৩–১৪ তারিখ জি–৭ সম্মেলনে যোগ দিতে যাবেন মোদী ইতালিতে। সেখানেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তাঁর দেখা হওয়ার কথা। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, কা😼নাডা, জাপানের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে দেখা হবে তাঁর। তবে সুইৎজারল্যান্ডের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে ৩–৪ জুলাই কা♔জাকস্থানে যাবেন মোদী। সেখানে এসসিও সম্মেলনে যোগ দেবেন। সেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে তাঁর দেখা হওয়ার কথা।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থ♑াকছেন হাসিনা–বিক্রমসিংঘে, মোদীর সঙ্গে কথা দু’জনের
এছাড়া বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় 🍸চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বেড়েছে। যা ভারতকে চিন্তায় রেখেছে। তাই কি এই দু’দেশকে বাড়তি খাতির? উঠছে প্রশ্ন। একটি চিঠিতে শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছেন, ‘ভারতের লোকসভার ১৮তম নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ’র জয়ের জন্য বাংলাদেশের জনগণ এবং আমার পক্ষ থেকে আপনাকে অনেক অভিনন্দন। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নেতা হিসাবে আপনি ভারতের জনগণের আশা পূরণের ভার পেয়েছেন। ভারতের জনগণের রায়ে আপনার তৃতীয়বারের বিজয়ের পর দু’দেশের সম্পর্ক আরও বন্ধুত্বপূর্ণ ও ঘনিষ্ঠ হবে।’