সোমবার চতুর্থ দফায় ভোট হয়েছে। এই পর্বে শ্রীনগরেও ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের হিসেবে বলছে, গত কয়েক দশকের মধ্যে চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে শ্রীনগরে, যার পরিমাণ হল ৩৮ শতাংশ। তাতে স্পষ্ট যে এবার শ্রীনগরের মানুষদের ভোট দানে উৎসাহ ছিল গতবারগুলির তুলনায় অনেক বেশি। এই তথ্য প্রকাশিত হতেই শ্রীনগরের ভোটারদের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এরজন্য নিজের সরকারের ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদꦍ্ধান্তকেই যাবতীয় কৃতিত্ব ♌দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: 'পাকিস্তানকে চুড়ি পরি🍨য়ে দেব', বিরোধীদের 'কাপুরুষ' ꦛআখ্যা দিয়ে তোপ মোদীর
নরেন্দ্র মোদী নিজের এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে লিখেছেন, ‘আগের থেকে শ্রীনগরে উল্লেখযোগ্যভাবে ভোটদান বেড়েছে। এরকম উৎসাহের জন্য শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের সাধুবাদ জানাতে চাই।’ এরপরেই প্রধান মন্ত্রী লেখেন, ‘৩৭০ ধারা বাতিলের ফলে জনগণের মধ্যে ভোটদানের উৎসাহ বেড়েছে। সেখানে তাদের ভয় কমেছে। এটা⛄ জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের জন্য বিশেষ করে যুবকের জন্য খুবই ভালো একটি দিক।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে অগস্ট মাসে জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল হয়েছে। তারপর এই প্রথম ভোট হচ্ছে সেখানে। সোমবার শ্রীনগর, গান্ডারবাল, পুলওয়ামা, বুদগাম এবং শোপিয়ান জেলার বিধানসভা কেন্দ্রগুলি সহ এই লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে ২,১৩৫টি কেন্দ্রে ভোট ভোটগ্রহণ হয়েছিল। ২০১৯ সালে শ্রꦍীনগরে ১৪.৪৩ শতাংশ ভোট পড়েছিল। আর ২০২৪ সালের ভোটদানের শতাংশ কয়েক দশকের তুলনায় বেশি।
নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৯৯ সালে এই কেন্দ্রে ১১.০৩ শতাংশ ভোট পড়েছিল। ২০০৪ সালেꦕ ১৮.৫৮ শতাংশ, ২০০৯𓄧 সালে ২৫.৫৫ শতাংশ, ২০১৪ সালে ২৫. ৮৬ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ১৪.৪৩ শতাংশ ভোট পড়েছিল। সুতরাং তথ্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে এখানে এ বছর ভোটের হার কতটা বেড়েছে।
নির্বাচন কমিশনের মতে, ভোটাররা নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি আসᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ্থা রেখেছেন এবং সেই জন্য ভোট প্রক্রিয়ায় অংসগ্রহণ করতে তাদের মধ্যে উৎসাহ দেখা গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে, চাদুরা, কাঙ্গান, খানসাহেব এবং শোপিয়ান বিধানসভা এলাকায়। এখানে ৪৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে।
প্রসঙ্গত, শ্রীনগরে ভোটারদের উৎসাহিত করতে সবরকমভাবে পদক্ষেপ করেছিল কমিশন। এই কেন্দ্ꦰরে ভোটারের সংখ্যা ১৭ লক্ষের বেশি। ৮ হাজারের বেশি ভোট কর্মী ছিলেন দায়িত্বে।