তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পীযূষকান্তি পণ্ডার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি। সোমবার কমিশনে চিঠি দিয়ে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) দেখিয়ে বিꦫজেপি দাবি করেছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদ🥀ীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতা। মোদীকে ‘তেলির ঘরের ছেলে’ বলে আক্রমণ শানিয়েছেন। অপমান করেছেন অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) মানুষদের। যদিও বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের তরফে আপাতত কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
পীযূষ কী বলেছেন বলে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে?
মোদীর বিরুদ্ধে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি কুকথা বলেছেন দাবি করে একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) পোস্ট করেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা 𝓡শুভেন্দু অধিকারী। ওই ভিডিয়োয় এক ব্যক্তিকে মাইক দেখা গিয়েছে। আর ভিডিয়োয় শোনা গিয়েছে, ‘মোদী পাগল। কয়েকদিন আগে রাম মন্দিরের উদ্বোধন করা হয়েছে। আমি বামুন (ব্রাহ্মণ) লোক। আমায় তো তিন-চারদিন পরে হয়ত কাঁথি সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে জুতো পালিশ করতে বসতে হবে।’
সেইসঙ্গে ওই ভিডিয়ো আরও শোনা যায়, ‘কেন জানেন? উনি (নরেন্দ্র মোদী) যেদিন রামমন্দিরের উদ্বোধন করেছেন.............। অসম্পূর্ণ রামমন্দিরের (উদ্বোধন করছেন)। চার-চারজন শংকরাচার্য বলেছেন যে হিন্দু ধর্মে এটা হয় না। অহংকারী নরেন্দ্র মোদী, তেলির ঘরের ছেলে ...। তিনি রামমন্দিরের উদ্বোধন করছেন, তিনি রামমন্দিরের পুজো করছেন। কোনও ব🌃্রাহ্মণের ডাক নেই। তাহলে ব্রাহ্মণের পৈতে রেখে লাভ কী? আমি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে আমি আমার পৈতেটা পাঠিয়ে দিয়েছি। আমি কাঁথির সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে জুতো পালিশ করব। যা।’
শুভেন্দু দাবি করেছেন, ওই ভিডিয়োয় যে ব্যক্তি কথা বলছেন, তিনি আদতে তৃণমূল নেতা পীযূষ। আর তাঁর বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, শুধুমাত্র মোদীর বিরুদ্ধে কুকথা বলেননি পীযূষ, পুরো ওবিসি সমাজের অপমান করেছেন। শুধু তাই নয়, মোদীর 'চরিত্র হনন' করা হয়েছে বলেও দাবি করেছ🍌ে বিজেপি। কমিশনের কাছে গেরুয়া শিবির অভিযোগ করেছে, পীযূষ বলেছেন যে মোদী যে স্টেশনে চা বিক্রি করতেন বলে দাবি করেন, সেরকম কোনও রেল স্টেশনের অস্তিত্বই নেই।
বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া স্বাক্ষর করা সেই চিঠির বয়ানে দাবি করা হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সেই 'মন্তব্য' করে আদর্শ আচরণবিধি𝕴 ভঙ্গ করেছেন পীষূয। তাঁকে পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে নিষিদ্ধ করে দিক নির্বাচন কমিশন। সেইসঙ্গে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় সতর্ক করে দেওয়ারও দাবি তুলেছে বিজেপি।