একদিকে তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারী তথা দেব, অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। লোকসভায় একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীই হলেন অভিনেতা। ঘাটাল কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন দুই অভিনেতা। ফলে ঘাটালে এবা꧃র লোকসভার লড়াইটা বেশ জমজমাট হতে চলেছে। তবে তার আগে ঘাটালে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে 🍷তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ ঘাটালের অন্তর্গত কেশপুর ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠেছে। যার ফলে দলের নির্বাচন কমিটির বৈঠক মাঝপথেই ভেস্তে গেল।
আরও পড়ুন: স্যালাড নয়, কর্মীদের সঙ্গে একসঙ্গে ভালো-মন্দ খেয়েইℱ প্রচার চালꦬাচ্ছেন দেব
আসলে কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহার সঙ্গে ব্লক সভাপতি প্রদ্যোত পাঁজার মনোমালিন্যের কারণেই এমনটা ঘটেছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, কেশপুর তৃণমূলের তরফে শুক্রবার প্রথম নির্বাচনী কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকে তৃণমূল বিধায়ক এব꧟ং ব্লক সভাপতি অনুগামীদের দ্বন্দ্বের কা♍রণে বৈঠক বন্ধ হয়ে যায়। যদিও ব্লক সভাপতি দাবি করেন, কমিটির একটা নামের তালিকা আসার পরে বিতর্ক তৈরি হয়। তারপরে আর বৈঠক হয়নি। অন্যদিকে, বিধায়ক দাবি করেছেন, রমজান মাসের কারণে এরকমটা হয়েছে।
তবে তৃণমূল এর একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, কেশপুরে নির্বাচনী কমিটি নিয়ে দলের গোষ্ঠী কোন্দল এর আগে প্রকাশ্যে এসেছে। নির্বাচনী কমিটির ক্ষেত্রে সাধারণত দলের জেলা সভাপতি বা ব্লক সভাপতি নির্বাচনী কমিট⛄ি গড়েন। কিন্তু, কেশপুরের ক্ষেত্রে সমস্যা থꦇাকায় সেই কমিটি গঠন করেছিলেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। শোনা যাচ্ছে, দেবও নাকি বলেছেন, ‘একটা নির্বাচনী কমিটি গড়তে এত কষ্ট।’ সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘তৃণমূলকে শুধুমাত্র তৃণমূলই হারাতে পারে।’
আরও শোনা যাচ্ছে, কেষ্টপুর কঠিন বুঝে অন্যান𝐆্য বিধানসভা এলাকায় বেশি সময় দিচ্ছেন দেব। উল্লেখ্য, দুবারের সাংসদ দেব ২০১৪ সালে এবং ২০১৯ সালে কেশপুর থেকে প্রচুর লিড ♋পেয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে ডেবরা এবার লিড দিতে পারে বলে দেব মনে করছেন। তিনি বলেছেন, ’কর্মীরা সংঘবদ্ধ হলে ডেবরা কেশপুরের থেকে অনেক বেশি লিড দেবে।’ ব্লক সভাপতির অভিযোগ কিছু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে চাইছেন। তবে বিধায়ক শিউলির দাবি, কাউকে বাদ দেওয়া যাবে না। এই সুযোগে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, তৃণমূলের সর্বত্রই এখন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে।