সম্প্রতি উত্তর কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল, পুরকর্মীদের মাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। যা জানতে পেরে কলকাতার কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষও বলেছিলেন, অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে পদক্ষেপ করা হবে। আর এবার নতুন করে সুদীপের প্রচার ঘিরে বিতর্ক। রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার কলকাতার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে রোড শো করছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করা হচ্ছে, সেই সময় তৃণমূলের একদল কর্মীর বিক্ষোভের মুখে পড়েন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সুদীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাইরে থেকে লোক এনে সেখানে মিছিল করছিলেন বর্ষীয়ান সাংসদ। আর তাতেই স্থানীয় কর্মীদের আপত্তি ছিল। এই আবহে সুদীপের মিছিল ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তৃণমূল কর্মীরাই। এর জেরে বেশ কিছুক্ষণের জন্যে রোড শো থমকে গিয়েছিল।রিপোর্ট অনুযায়ী, সুদীপের মিছিল ঘিরে বিক্ষোভ চলাকালীন তাঁর গাড়ির দিকে যান তৃণমূলের মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় পাল। এরপর বিদায়ী সাংসদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় মৃত্যুঞ্জয়কে। এই বিতর্ক প্রসঙ্গে পরে সংবাদমাধ্যমের কাছে মৃত্যুঞ্জয় দাবি করেন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বহিরাগতদের নিয়ে এসে মিছিল করছিলেন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। তাঁর অভিযোগ, ওয়ার্ডে বা বুথ স্তরে যেসব তৃণমূল কর্মীরা সারা বঠর কাজ করেন, তাঁদেরকে মিছিলে ডাকা হয়নি। এই কারণে সেই সব তৃণমূল কর্মীরাই বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন। মৃত্যুঞ্জয় পালের কথায়, স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের মিছিলে না ডাকা নিয়ে সুদীপকে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। এর জবাবে নাকি সুদীপ বলেছিলেন, কর্মীদের জানানোর দায়িত্ব কাউন্সিলরের ছিল। তবে বিতর্ক ধামাচাপা দিতে মৃত্যুঞ্জয় দাবি করেন, সুদীপ তাঁকে কথা দিয়েছেন, আগামীতে প্রচারের সময় দলের সর্বস্তরের কর্মীদের আহ্বান জানানো হবে।এদিকে এই বিতর্ক প্রসঙ্গে সুদীপের শিবিরের দাবি, স্থানীয় কাউন্সিলরকে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছিল, ওয়ার্ডের বুথ স্তরের কর্মীদের সেই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো তাঁরই দায়িত্ব ছিল। তবে এরপরও যদি দলের কোনও কর্মীর কাছে এই কর্মসূচির খবর না পৌঁছে থাকে, তাহলে তা ভুল বোঝাবুঝির কারণে ঘটেছে। এই বিষয়ে পরে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই কর্মসূচির বিষয়ে ১০-১৫ দিন আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। এদিকে ক'দিন আগেই সুদীপের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করে অনশনে বসেছিলেন তৃণমূলেরই কাউন্সিলর মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে কুণাল ঘোষের হস্তক্ষেপে তিনি আপাতত তাঁর সত্যাগ্রহ ‘স্থগিত’ রেখেছেন। ভেঙেছেন অনশন। এই সবের মাঝে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনায় স্বভাবতই কিছুটা অস্বস্তিতে পড়বেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।