শনিবার বিকাল থেকেই গোটা দেশজুড়ে মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট বা নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লাগু হয়ে যাবে। দেশের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য় এই নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লাগু করা হয়। এটাই মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট বলে পরিচিত। লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের সময় সমস্ত রাজনৈতিক দলকে এই বিধি মেনে চলতে হয়। মানে ভোটপ্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলিকে কী করতে হয় ও রাজনৈতিক দলগুলিকে কী না করতে হয় সব ক্ষেত্রেই এই নিয়মের মাধ্য়মে উল্লেখ করা থাকে।নির্বাচন কমিশনার রাজনৈতিক দলগুলিকে এই ধরনের নিয়ম মেনে চলার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নির্দেশ করতে পারে। ১৯৬০ সালে কেরল বিধানসভা ভোটে সবার প্রথমে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লাগু করা হয়েছিল। ১৯৬২ সালে প্রথম নির্বাচন কমিশন লোকসভা নির্বাচনের আগে এই আদর্শ নির্বাচনী বিধি ঘোষণা করে। এককথায় একেবারে কড়া নিয়ম। মানে রাজনৈতিক দলগুলিকে এই নিয়ম মেনে চলতে হয়। সেই নিয়ম না মানলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়।রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে চলতে হয়। সরকার নয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়া যতক্ষণ চলে ততক্ষণ সরকার নয়, গোটা প্রক্রিয়াটি নির্বাচন কমিশনের আওতায় পড়ে।মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট প্রয়োগ করা হলে রাজনৈতিক দলগুলি কোন কাজগুলি করতে পারে না?মন্দির, মসজিদ গুরুদ্বারা সহ ধর্মীয় স্থানে রাজনৈতিক কোনও কর্মসূচি পালন করা যায় না।নির্বাচনী বিধি লাগু করা হলে কোনও সরকারি কর্মীর বদলি বা কোনও নতুন পদ তাকে দেওয়া হয় না।এই সময়ের মধ্য়ে মন্ত্রীরা কেবলমাত্র কেবলমাত্র তাদের গাড়ি বাড়ি ও অফিসের মধ্য়ে যাতায়াতের মধ্য়ে ব্যবহার করতে পারেন।সরকারি কোনও ঘোষণা, শিলান্যাস, উদ্বোধন এসব হতে পারে না। কোনও জায়গায় মিটিং করার ক্ষেত্রে স্থানীয় পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়।মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট ভাঙলে কী হতে পারে?কোনও রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক দলের প্রার্থী নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এমনকী ভোট থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।এমনকী আদর্শ নির্বাচন বিধি সাধারণ মানুষের উপরেও লাগু করা হতে পারে। কোনও রাজনীতিবিদ যদি এই নিয়ম ভঙ্গ করে কিছু করতে বলেন তবে তিনি না করতে পারেন। কোনও ব্যক্তি যদি রাজনৈতিক দলের হয় প্রচার করেন তবে তাঁকেও এই বিধি মেনে চলতে হয়।