একেবা🦩রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। আর সেই ল🐲ড়াইতে জিতে গিয়েছিলেন ঠাকুরবাড়ির কন্যা, মমতাবালা ঠাকুরের কন্যা মধুপর্ণা ঠাকুর। বাগদা আসনও হাতছাড়া হল বিজেপির। একেবারে লজ্জার হার।
তবে ভোটে জেতার পরে মধুপর্ণার প্রথমেই একটি কাজ করলেন। ঠাকুরবাড়ির সেই কার্যত তালাবন্ধ বীণাপানি দেবীর ঘরের তালা ভেঙে সেখানে প্রবেশ করেন তিনি। কলকাতা হাইকো🧔র্টের অনুমতির জেরে প্রথমে তিনি এই কাজ করলেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
তবে সৌজন্য দেখিয়েও গোটা বিষয়টি অত সহজে ছাড়তে রাজি নন শান্তনু ঠাক🔥ুর। তিনি জানিয়ে দ♍িয়েছেন ওই ঘর যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। তাঁরা এনিয়ে আদালতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।
কার্যত শনিবার ভোটে জিতে একটা বৃত্ত সম্পন্ন করলেন মধুপর্ণা। আসলে মাসখানেক আগে মতুয়া মহামেলার সময় বড়মার ঘরের তালা ভেঙে ঘর দখল করার অভিযোগ উঠেছিল শান্তনুর বিরুদ্ধে। এরপর সেই ঘরে তালা দিয়ে দেন শান্তনু ঠাকুর। সেখা𒊎নে মমতাবালা ঠাকুরের প্রতিনিধিরা যেতে পারতেন না বলে খবর। ঠাকুরবাড়িতে সম্পর্কের ফাটল ক্রমশ বাড়তে থাকে। এদিকে তালা ভেঙে সেই ঘরে প্রবেশের দাবিতে অনশনও করেছিলেন মমতাবালা। যোগ দিয়েছিলেন মধুপর্ণা।
আর বাগদা উপনির্বাচনে ঠাকুরবাডཧ়ির নতুন প্রজন্মের সদস্য মধুপর্ণাকে প্রার্থী করা হয়। আর তাতেই বাজিমাত। ভোটে জিতে খুশি মধুপর্ণা। এলাকার উন্নয়ন করতে চান। সেই সঙ্গেই দাদা শান্তনু ঠাকুরের প্রতিও তিনি সৌজন্য প্রকাশ করেছিলেন।
কিন্তু ঠাকুরবাড়ি ফিরেই তিনি ভেঙে ফেললেন বড়মার ঘরের♔ তালা।
মধুপর্ণা বলেন, ‘বাগদার রাস্তার খুব সমস্যা। সেটা আমি করতে চাই। ꧙দিদির জন্য সবটা সম্ভব হয়েছে✤। দিদির উন্নয়ন দেখে মানুষ বুঝতে পেরেছেন দিদিই করতে পারবেন। এখানে বিজেপি কংগ্রেস আসতে পারবে না। বয়সটা ম্যাটার করে না। আমার ৫০ বছর হলেও কাজ করতাম। সবাইকে উৎসর্গ করতাম। এটা বাগদার জয়। এটা প্রথম। আগে দেখা যাক কী হয়। সিএএ ম্যাটার করে না। বাগদার জন্য কাজ করব। হেরে গেছে ওরা কী বলবে। সোনার মতো বাগদা গড়তে চাই। অনশনের সঙ্গে এই জয়ের কোনও ব্যাপার নেই। আপনারা জানেন কীভাবে আমরা অধিকারের লড়াই চালিয়েছি। আমাদের ঘরে তালা মেরে দিয়েছিল। ওটা আলাদা লড়াই। তবে দাদার সঙ্গে কথা হবে( শান্তনু ঠাকুর) । হাজার হোক রক্তের একটা টান তো থাকেই। নিশ্চয়ই কথা হবে। ’