রাত পোহালেই উত্তর-পূর্ব ভারতের দুই রাজ্য মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে ভোটগ্রহণ হতে চলেছে। দুটি রাজ্যেই মোট বিধানসভা আসনের সংখ্যা ৬০ টি হলেও সোমবার ৫৯ টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। মেঘালয়ে লড়াইয়ে আছে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (পিপিপি), বিজেপি, কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মতো দল। আবার নাগাল্যান্ডে লড়াই হবে নাগা পিপলস ফ্রন্ট (এনপিএফ), ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক প্রো𝄹গ্রেসিভ পার্টির (এনডিপিপি), বিজেপির মতো দল।
৬০ আসন, তবে ৫৯ আসনে ভোট মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে
উত্তর-পূর্ব ভারতের দুটি রাজ্যে বিধানসভা আসনের সংখ্যা ৬০। তবে সোমবার ৫৯ টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। নাগাল্যান্ডের আকুলুতো আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছেন বিজেপির প্রার্থী কাজেতো কিনিমি। অন্যদিকে, মেঘালয়ে সোহিওঙ্গ আসনের ভোটগ্রহণ পিছিয়ে গিয়েছে। কারণ ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী এইচ ডি আর লিংডো প্রয়াত হয়েছেন⛄।
মেঘালয়ের ভোট-লড়াই
১৯৭২ সাল থেকে বিধানসভা নির্বাচনে কখনও কোনও দলকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেয়নি মেঘালয়। সেই ধারা বজায় রেখে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত শাসক দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (পিপিপি)। একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ বꦐিদ্ধ হলেও𒐪 শাসক দলের দাবি, এবার এককভাবেই ৩০ পেরিয়ে যাবে।
২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে💯র মতো এবার বিজেপি এবং এনপিপির জোট হয়নি। এককভাবে ৫৭ টি আসনে লড়াই করবে এনপিপি। সব আসনেই লড়াই করছে বিজেপি এবং কংগ্রেস। ৫৮ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তৃণমূল কংগ্রেসও। আপাতত 'খ্রিস্টান-বিরোধী' ত🔯কমা ছেড়ে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে চাইছে বিজেপি। আবার মেঘালয়ে নিজেদের হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতে চাইছে কংগ্রেস। ২০১৮ সালের ভোটে একক বৃহত্তম দলের তকমা পাওয়ার চার বছরের মধ্যে ২১ বিধায়ককে হারিয়েছে হাত শিবির।
তবে এবার ভোটে ফ্যাক্টর হতে পারে তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, এবার মেঘালয়ে বিরোধী ভোটে থা🧸বা বসাতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল (যদিও সরকার গঠনের বিষয়ে আশাবাদী তৃণমূল)। তার জেরে কংগ্রেসের কপাল পুড়তে পারে। যা নিয়ে কংগ্রেসের সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে কথার যুদ্ধ হয়েছে।
মেঘালয়ে সাংমা বনাম সাংমা
এবার মেঘালয়ে সাংমা বনাম সাংমা লড়াই হতে চলেছে। এনপিপি নেতা তথা বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে এবার তৃণমূলের মুকুল সাﷺংমার চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে। যে দু'জনই গারো প꧃াহাড়ের নেতা। ফলে দুই সাংমার লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত।
মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে ধর্মীয় পরিচয়ের লড়াই
উত্তর-পূর্ব ভারতের যে দুই রাজ্যে সোমবার ভোটগ্রহণ হতে চলেছে, সেই দুই রাজ্যেই খ্রিস্টান মানুষের সংখ্যা বেশি। সেই ধর্মীয় পরিচয় নিয়েও লড়াই শুরু হয়েছে। কংগ𒊎্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ও রাহুলের দাবি, বিজেপি ক্ষমতায় এসে ভোটারদের ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা বিপন্ন হবে। আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আশ্বাস দিয়েছেন, ওরকম কো⛎নও ঘটনা ঘটবে না। কোনও ধর্মের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে না বিজেপি।
আরও পড়ুন: Meghalaya Election: রা💎হুলের খোঁচার জবাব দিলেন মহুয়া, ‘বাড়ি বসে খালি দেখব…!’
নাগাল্যান্ডে ভোট-লড়াই
২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হয়েছিল নাগা পিপলস ফ্রন্ট (এনপিএফ)। ৬০ টি আসনের মধ্যে ২৬ টিতে জিতেছিল। বিজেপি জিতেছিল ১২ টি আসনে। কিন্তু ভোটের আগে বিজেপি এবং এনপিএফের যে জোট তৈরি হয়েছিল, তা ভেঙে পড়েছিল। পরিবর্তে ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (এনডিপিপি) সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠন করেছিল। ১৭ 🐓টি আসনে জিতেছিল এনডিপিপি।
আরও পড়ুন: Nagaland-Meghalaya Election: শেষবেলার প্রচারে এগিয়ে BJP, কংগ্রেস 🧸কি ব্যাকফুটে꧅?
এবারও জোট বেঁধে লড়াই করছে এনডিপিপি এবং বিজেপি। আঞ্চলিক দলের ৪০ টি আসন এবং বিজেপির ২০ টি আসনের ফর্মুলায় লড়াই করছে। ২৩ টি আসনে লড়ছে কংগ্রেস। ২২ টি আসনে লড়ছে এনপিএফ। ১৫ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে লোক জনশক্তি পার্ট🦩ি (রামবিলাস)। সবমিলিয়🌺ে ১৮৩ জন প্রার্থীর ভাগ্যনির্ধারণ হবে।
নাগাল্যান্ডের ভোট-ইস্যু
দীর্ঘদিনের মতো এবারের নির্বাচনেও আফস্পা প্রত্যাহার এবং নাগা-রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের মতো বিষয়গুলি প্রভাব ফেলতে পারে। নাগাল্যান্ডের জাপফু ক্রিশ্চিয়ান কলেজের অধ্যক্ষ বিসাখোনু হিবো জানান, আফস্পা প্রত্যাহার এবং নাগা রাজনৈতিক ইস্যুর সমাধানের মতো বিষয়গুলিকে 'টোপ' হিসেবে ব্যবহার করে আসছে রাজনৈতিক দলগুলি। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, 'কোনও দলের নাম করছি না। কিন্ত❀ু এবার নাগাল্যান্ডের ভোটের প্রচারে টাকার ফোয়ারা উঠেছে।'
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )