ভোটের আগে বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে জামি অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে শুক্রবার। প্রাক্তন এই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বীরভূমের রামপুরহাট থানার পুলিশ। ভোটের আগে কার্যত ๊এই মামলা ঘিরে কিছুটা বিপাকে বিজেপি প্রার্থী। দেবাশিস ধর সহ এই মামলায় ১২ জনের নাম রয়েছে। ওই ১২ জনের মধ্যে বীরভূমের বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহাও রয়েছেন।এদিকে মামলা ঘিরে দে☂বাশিস ধরের দাবি, তিনি আইন ভাঙেননি।
বুধবার ছিল রামনবমী। সেদিন রামনবমী উপলক্ষ্যে বিজেপির মিছিলে বহু নেতাই যোগ দেন। মিছিলে অনেকেরই হাতে ছিল অস্ত্র, বলে দাবি করা হচ্ছে। আর সেই অভিযোগ নিয়ে অস্ত্র আইনে জামিন অযোগ্য ধারায় দেবাশিস ধরের বিরুদ্ধে হয়েছে মামলা। প্রসঙ্গত, বীরভূম কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন পুলিশকর্মী তথা আইপিএস দেব♌াশিস ধর। বিজেপির টিকিটে তিনি এই কেন্দ্রের প্রার্থী। জানা গিয়েছে, বীরভূমের রামপুরহাট থানার এসআইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা দায়ের হয়েছে। প্রসঙ্গত, বুধবারের রামনবমীর মিছিলে অন্যান্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে পা মিলিয়ে ছিলেন দেবাশিস ধরও। আর সেই মিছিলে অস্ত্র নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ ছিল। মিছিলে ছিলেন বিজেপির ধ্রুব সাহাও। যদিও তাঁরা অস্ত্র হাতে নিয়ে মিছিলের অভিযোগ অস্বীকার করছেন। প্রসঙ্গত, গত ১৭ এপ্রিল ছিল রামনবমী। সেদিন যাতে জেলায় কোনও অপ্রতীকির পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেদিকে নজর দিয়ে আঁটোসাটো বন্দবস্ত করেছিল প্রশাসন। রামপুরহাটে সেদিন পাঁচমাথার মোড় থেকে শুরু হয়েছিল শোভাযাত্রা। সেই মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন দেবাশিস ধর, ধ্রুব সাহা সহ অন্যান্য নেতারা। অভিযোগ করা হচ্ছে, তাঁরা সেদিন অস্ত্র নিয়ে হাঁটছিলেন। এদিকে, বাংলা সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেবাশিস ধর জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে পুলিশে চাকরি করেছেন। তিনি বলছেন, অস্ত্র নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশিকা পালন করেছেন তিনি, ফলে ‘আইন জানিনা, এটা ভাবাটা ভুল।’
( Modi in UP:‘যাঁরা শ্রীকৃষ্ণের অপমান করেন তাঁদের সঙ্গে ওই যদুবংশীরা কী করেඣ..’,🌜 রাহুলকে নিয়ে অখিলেশ-তেজস্বীদের খোঁচা মোদীর)
পাশাপাশি বীরভূমে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলছেন, ‘অস্ত্র নিয়ে মিছিল করিনি, আমাদের হাতে প্রতীকী অস্ত্র ছিল, এর মধ্যে কোনও অন্যায় আমরা ꦗদেখছি না।’ অভিযোগের সুর চড়া করে তিনি বলছেন, ‘তৃণমূলের চাপে পড়ে পুলিশ এই ধরনের কাজ করছে।’ তাঁর সাফ বার্তা, ‘কেস করে মামলা দিয়ে বিজেপির নেতৃত্বকে জমানো যাবে বলে যাঁরা ভাবছেন, তাঁরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন।’