রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ের বিধানসভা নির্বাচনে প্রত্যাশামতো ভালো ফল করতে পারেনি কংগ্রেস। এই তিনটি রাজ্য এবার তাদের হাতছাড়া হয়েছে। স♋েখানে ফুটেছে পদ্ম। এই তিন রাজ্যে পরাজয়ের পরেই সরব হয়েছে কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধীরা। বিধানসভা ভোটে হারের জন্য ইভিএম মেশিনকেই কার্যত দায়ী করছেন। তাদের বক্তব্য, ইভিএম মেশিনে নিশ্চয়ই কিছু কারচুপি করা হয়েছে। তাছাড়া এরকম ফল মোটেই প্রত্যাশিত ছিল না। এই অবস্থায় ব্যালট পেপারে ভোটের পক্ষেই সওয়াল করলেন শিবসেনার রাজ্যসভার স🌺ংসদ সঞ্জয় রাউত।
আরও পড়ুন: গালিগালাজ করে, নেতিবাচক হয়ে মানুষꦍের হৃদয়ে জায়গা পাবেন না; বিরোধীদের ক্লাস মোদীর
একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় রাউত বলেন, ’তিন রাজ্যে বিজেপি বড় জয় পেয়েছে। তার জন্য বিজেপিকে অভিনন্দন জানাই। কিন্তু ইভিএম নিয়ে জনগণের মনে সন্দেহ রয়ে গিয়েছে। তাছাড়া মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে বিজেপির জয় কীভাবে সম্ভব? তাই🅷 জনস🌄াধারণের সন্দেহ দূর করার জন্য বিধানসভা বা লোকসভা যেকোনও একটি ভোট ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালট পেপারে নেওয়া হোক। তারপরেই দেখবেন জনসাধারণ মনে আর কোনও সন্দেহ থাকবে না।’ এর পাশাপাশি তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, ‘ক্ষমতা থাকলে মুম্বই পুরসভার ভোট নিয়ে দেখাক বিজেপি।’
অন্🦹যদিকে, কংগ্রেসের খারাপ ফলের পরে ইভিএম মেশিনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন দলের দলিত নেতা এবং প্রাক্তন সাংসদ উদিত রাজ। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘ইভিএমে অবশ্যই কারচুপি করা হয়েছে। তা নাহলে এমন ফলাফল প্রত্যাশিত ছিল না।’ তিনি আরও লেখেন, ‘নির্বাচনের ফলাফলের পরে , মনে হচ্ছে গণতন্ত্র এবং সংবিধানের পক্ষে টিকে থাকা কঠিন। আমি অবাক হব না যদি ভারতের জোটের লোকেরা ফলাফলের জন্য ইভিএমকে দোষারোপ করতে শুরু করে।’
যদিও, তাদের কথায় গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। দলের জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেছেন, ‘এই জয় মোটেও বিস্ময়কর নয়। কংগ্রেস ইভিএমের অপব্যবহার করেছিল। যদি ইভিএমে কারচুপি করা হতো তাহলে কংগ্রেস তেলাঙ্গানায় ভালো ফল করল কীভাবে? আসলে ইভিএম হল বাহানা। রাহুল নিজের লজ্জাজনক 🍌হার ঢাকতে চাইছে বলে এখন ইভিএমের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।’ 🎃মহারাষ্ট্রের আরেক উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ দাবি করেছেন, যে এবার কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট বৈঠক করে ইভিএমকে দায়ী করবে।