ত্রিপুরায় ফের ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। ভোট পরবর্তী হিংসা যাতে না হয় সেকারণে আবেদন জানিয়েছিলেন বিদায়ী মুখ্য়মন্ত্রী মানিক সাহা। কিন্তু তাঁর আবেদন সত্ত্বেও ভꦆোটের ফলাফল বের হওয়ার পর থেকেই এলাকায় শুরু হয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসা। একাধিক জায়গায় লুঠপাট, ভাঙচুর, ঘরে অগ্নি সংযোগের অভিযোগ উঠেছে। তবে শুধু বিরোধী সিপিএম ও কংগ্রেসের কর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে এমনটা নয়, বিজেপির জয়ী কর্মী সমর্থকরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। সব মিলিয়ে একাধিক জায়গায় রাজনৈতিক হিংসার ঘটনার অভিযোগ।
এদিকে বিভিন্ন জায়গায় হিংসা ঠেকাতে ময়দানে নেমেছে পুলিশ । ধরপাকড়ও চলছে পুরোদমে। অন্তত ২০০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের টহল চলছে। এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোরও চলছে পুরোদমে। বিরোধীদের দাবি, ভোট মিটতেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিভিন্ন জায়গায় বাড়িতে ভাঙচুর করা হচ্ছে। তার সঙ্গে চলছে অগ্নিসংযোগ। একেবারে আগের নির্বাচন পরবর্তী প𓂃রিস্থিতি ত্রিপুরায় ফিরে আসছে বলে দাবি🌌 করেছেন বিরোধীরা।
এদিকไে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় কাউকে রেয়াত করা হবে না।কোনও কোনও স্বার্থান্বেষী মহল এটা ঘটাচ্ছে। কে বা কারা এই ঘটনার পেছনে রয়েছেন তা আমরা সকলেই জানি। অন্যদিকে নিজেদের দলের কেউ থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্য়বস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত তিনি দিয়েছেন।
এদꦚিকে তিপ্রা মোথার জয়ী প্রার্থী রঞ্জিত দেববর্মা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কর্মী সমর্থকদের আশ্বাস দেন। কোনওভাবেই যাতে হিংসা না ছড়ায় সেব্যাপারে রাজꦇনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা আবেদন করেছেন। বাম-কংগ্রেস নেতাদের পক্ষ থেকেও এনিয়ে শান্তিরক্ষার আবেদন করা হয়েছে।
সকলেই চাইছেন ভোটের ফলাফল বের হওয়ার পরে যাতে রাজনৈতিক হিংসায় আর কেউ ক্ষতির মুখে না পড়েন। সেকারণে শাসক, বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সকলকে আবেদন জানানো হয়েছে, কোনও রকম প্ররোচনায়🌜 পা দেবেন না।
এদিকে বিগত দিনে বাংল🌺ায় ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলতেন বিরোধী বিজেপি সহ একাধিক রাজনৈতিক দল। এবার সেই বিজেপির একাংশের বিরুদ্🎉ধে ত্রিপুরায় রাজনৈতিক হিংসা ঘটানোর অভিযোগ।