আজ কর্ণাটকের ২২৪টি আসনে ভোটগ্রহণ। মতদান পর্ব শুরু হয়েছে সকল সাতটা থেকে। নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার প্রায় দু'ঘণ্টা পর বিজেপিকে নিশানা করে গুরুতর অভিযোগ করল কংগ্রেস। শতাব্দী প্রাচীন দল অভিযোগ করেছে যে উত্তর কর্ণাটকে বেশ কিছু গোয়ღার নম্বরপ্লেটের বাস দেখা গিয়েছে। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেছে কংগ্রেস।🍸 কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা এই নিয়ে প্রশ্ন করেন, 'এই বাসে করে কি দুর্নীতির টাকা পাচার করা হচ্ছে?' এদিকে বাসে করে গোয়া থেকে কর্ণাটকে ভুয়ো ভোটার আনা হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছরে ভারতে 'রিজর্ট রাজনীতি' বেশ 'জনপ্রিয়' হয়েছে। তবে সাধারণ ভোটের পর সেটা লক্ষ্য করা যায়। বা কখনও মেয়াদের মাঝপথে সরকার টলমল হলেও তা দেখা যায়। তবে ভোটের আগে এমনটা সাধারণত দেখা যায় না। তবে সেই 'রিজর্ট রাজনীতি'র গন্ধই পাচ্ছেন রণদীপ সুরজেওয়ালা। তিনি দাবি করেন, গোয়ার মন্ত্রী বিশ্বজিৎ রাণে 'হুইসলিং উডস জঙ্গল রিজর্টে' ছ'টি রুম বুক করেছেন। রণদীপ সুরজেওয়ালা এই নিয়ে প্রশ্ন করেন, ‘কর্ඣণাটক পুলিশ কোথায়? নির্বাচন কমিশন কি এটা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করবে না?’
এদিকে পবন খেরা এক টুইট করে লেখেন, 'কদম্ব পরিবহণ সংস্থার বাসে করে কেন গোয়া বিজেপি লোকজন পাঠাচ্ছে উত্তর কর্ণাটকে? এর আগে গত সপ্🍷তাহে প্রধানমন্ত্রী মোদীর জনসভার জন্যও গোয়া থেকে ১০০টি বাসে করে লোক পাঠানো হয়েছিল।' পবন খেরার সেই টুইট রিটুইট করে কংগ্রেসের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয়, 'কেন বিজেপি সরকার উত্তর কর্ণাটকে লোক পাঠাচ্ছে? এই বাসে করে কি বেআইনি টাকা পাঠানো হচ্ছে? নাকি ভুয়ো ভোটার পাঠানো হচ্ছে?'
এর আগে ২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে ১০৪টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। কংগ্রেস ৮০ এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার জেডিএস ৩৭টি আসনে জয়লাভ করেছিল। কংগ্রেস এবং জেডিএস মিলে এরপর সরকাꦯর গঠন করে। মুখ্যমন্ত্রী হন দেবেগৌড়া পুত্র এইচডি কুমারস্বামী। তবে ২০১৯ সালে শাসক শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে সরকার গঠন করে বিজেপি।