বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি এখনও। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলি ধরে নিয়েছে এপ্রিল মাস থেকে শুরু হবে নির্বাচন। আর তাই দিন যত গড়াচ্ছে, ততই রাজনৈতিক তরজাও বাড়ছে। কটাক্ষ–ব্যঙ্গ থেকে কু-কথার ঢেউ আছড়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে আবার ভরা সভায় বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ তথা বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। যার জবাব সরাসরি দিলেন স্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ। আর তাতেই স্বামী–স্ত্রী সংসারের মতো অশান্তি লেগে গেল রাজ্য–রাজনীতির প্রাঙ্গনে।ঠিক কী ঘটেছে? বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ মহম্মদপুরের সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন, ‘যে টাকার জন্য নিজের বউকে নিলামে তুলে দেয়, তার আবার মানহানি।’ কয়লাকাণ্ডে অভিষেকের স্ত্রীকে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ করার বিষয়টি নিশানা করেই তাঁর এই মন্তব্য সেটা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি। কারণ তাঁর কথায়, ‘হরিদাস বলেছিলাম। তাতেই কেস করেছিল। আর যে টাকার জন্য নিজের বউকে নিলামে তুলে দেয় তার আবার মানহানি। যার মানই নেই তার আবার হানি হয় নাকি।’সৌমিত্রের এই মন্তব্যের পালটা জবাব দিতে সময় লাগেনি তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা সৌমিত্রের স্ত্রী'র। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘নিজের বউকে যে সম্মান দিতে জানে না, দাম্পত্য সম্পর্ক ঠিক রাখতে পারে না, তাঁর মুখে এসব মন্তব্য মানায় না। এই মন্তব্য আসলে চালুনি হয়ে ছুঁচকে দোষারোপ করার মতো। যে সৌমিত্র খাঁয়ের জন্য নয় বছর লড়াই করেছি, শুধুমাত্র ভিন্ন রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছি বলে আমায় বিবাহবিচ্ছেদের নোটিস পাঠানোর কথা প্রকাশ্যে বলেছে। তাঁর মুখে এসব কথা মানায় না।’অভিষেকের পাশাপাশি সৌমিত্র খাঁ বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ‘রক্তচোষা গোপাল ভাঁড়’ বলে আক্রমণ করেছেন। যার জবাবে অনুব্রত মণ্ডল জানান, খুব নোংরা ভাষায় কথা বলেছেন উনি।