এই তফসিলি জাতি বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দেবব্রত সাহা। অন্য দিকে, বিজেপির হয়ে দাঁড়াচ্ছেন অনুপ সাহা। বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে দাঁড়াচ্ছেন ফরওয়ার্ড ব্লকের বিজয় বাগদি।বীরভূম জেলা হল এই রাজ্যের একটি প্রশাসনিক একক। জেলাটি বর্ধমান বিভাগের অন্তর্গত৷ এই জেলার সদর দফতর সিউড়ি শহরে অবস্থিত। বোলপুর, রামপুরহাট ও সাঁইথিয়া এই জেলার অপর তিনটি প্রধান শহর। বীরভূম জেলার পশ্চিমে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া, দুমকা ও পাকুড় জেলা ও অপর তিনদিকে মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা অবস্থিত। বীরভূমকে বলা হয় ‘রাঙামাটির দেশ। এই জেলার ভূ-সংস্থান ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলার তুলনায় একটু আলাদা। জেলাটির পশ্চিমাঞ্চল ছোটোনাগপুর মালভূমির অন্তর্গত ঝোপঝাড়ে পরিপূর্ণ একটি এলাকা। এই অঞ্চলটি পশ্চিমদিক থেকে ক্রমশ ঢালু হয়ে নেমে এসে মিশেছে পূর্বদিকের পলিগঠিত উর্বর কৃষিজমিতে।দুবরাজপুর বিধানসভা কেন্দ্র বীরভূম জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হয়। আগে এই কেন্দ্রটি উন্মুক্ত ছিল।এই বিধানসভা কেন্দ্রটি দুবরাজপুর পৌরসভা, বালিজুরি, হেতমপুর, যশপুর, লেক্ষীনারায়ণপুর, লোবা ও পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি দুবরাজপুর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক ও খয়রাসোল সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকগুলির অন্তর্গত। এই বিধানসভা কেন্দ্রটি বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। আগে এটি বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ছিল।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী নরেশচন্দ্র বাউরি জিতেছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯৪ হাজার ৩০৯৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের বিজয় বাগদি। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ছিল ৫৪ হাজার ৪১৫৷ তৃণমূল প্রার্থী নরেশচন্দ্র বাউরি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফরওয়ার্ড ব্লকের বিজয় বাগদিকে ৩৯ হাজার ৮৯৪ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।২০১১ সালের নির্বাচনে ফরওয়ার্ড ব্লকের বিজয় বাগদি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের সন্তোষী সাহাকে পরাজিত করেছিলেন।২০০৬ ও ২০০১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ফরওয়ার্ড ব্লকের ভক্তিপদ ঘোষ দুবরাজপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের শৈলেন মহাতো ও সত্তিক রায়কে পরাজিত করেছিলেন ভক্তিপদ। ১৯৭৭ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ফরওয়ার্ড ব্লকের ভক্তিভূষণ মণ্ডল এই আসনে জিতেছিলেন। যথাক্রমে ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের অরুণকুমার চক্রবর্তী, ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের বিষ্ণুচরণ ঘোষ, ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের গৌরহরিচন্দ্র, ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের নিতাইপদ ঘোষ ও ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের এনায়েত করিম চৌধুরীকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন ভক্তিভূষণ। ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের সচীনন্দন স্বামী এই আসনে জিতেছিলেন। তার আগে ১৯৭১ সালে সিপিআইএমের মঞ্জুরুল ইসলাম দুবরাজপুর আসনে জিতেছিলেন।