বুথফেরত সমীক্ষা প্রকাশের সময়সীমা ৩০ মিনিট এগিয়ে আনল নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার কমিশনের তরফে বিবৃতিতে জারি করে জানানো হয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পরিবর্তে সাতটা থেকেই বুথফেরত সমীক্ষা দেখানো যাবে। এমনিতে এবার সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছ'টা নাগাদ পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হচ্ছে। গত ২৪ মার্চ কমিশনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে বুথফেরত সমীক্ষা প্রকাশ করা যাবে। তবে এবার নয়া বিবৃতি জারি করে সেই সময়সীমা এগিয়ে এনেছে কমিশন। তার ফলে সরকারিভাবে ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হওয়ার ৩০ মিনিট পরেই বুথফেরত সমীক্ষা প্রকাশ করা যাবে। যে সমীক্ষার মাধ্যমে আভাস পাওয়া যাবে, বাংলা, অসম, তামিলনাড়ু, কেরালা এবং পুদুচেরিতে কোন দল ক্ষমতায় আসতে চলেছে। যদিও বুথফেরত সমীক্ষা যে সবসময় ঠিক হয়, তেমনটাও নয়। অনেকক্ষেত্রেই হিসেব-নিকেশ পুরোপুরি পালটে যায়। ফলে ফলপ্রকাশের দিন অর্থাৎ ২ মে চূড়ান্ত উত্তর মিলবে যে কোন রাজ্যে কোন দল ক্ষমতায় দখল করেছে। উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। করোনাভাইরাসের লাগামহীন সংক্রমণের মধ্যে আগামী বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) হবে অষ্টম তথা শেষদফার ভোট। এছাড়াও অসমে ২৭ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিন দফায় ভোট হয়েছে। বাকি তিন রাজ্য - তামিলনাড়ু, কেরালা এবং পুদুচেরিতে একদফায় (৬ এপ্রিল) ভোট করিয়েছে কমিশন। সেই পরিস্থিতিতে বাংলায় কেন আট দফায় ভোট হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। করোনা সংক্রমণের জেরে শেষ তিনটি বা দুটি দফায় একসঙ্গে ভোট করারও দাবি উঠছিল।