এই বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন শংকরকুমার নস্কর। এই কেন্দ্রে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন বিধান পাড়ুই। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন কংগ্রেসের আবদুর রেজ্জাক মোল্লা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রেসিডেন্সি বিভাগের অন্তর্ভুক্ত জেলা। জেলার সদর আলিপুরে। এই জেলার উত্তর দিকে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব দিকে বাংলাদেশ, পশ্চিম দিকে হুগলি নদী ও দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগর রয়েছে। ফলতা এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। আগামী ৬ এপ্রিল ফলতায় তৃতীয় দফায় ভোট হবে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী তমোনাশ ঘোষ। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের তমোনাশ ঘোষ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএমের অর্ধেন্দু শেখর বিন্দুকে পরাজিত করেছিসেন। ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামপ্রার্থী চন্দনা ঘোষদস্তিদার ফলতা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি তৃণমূল কংগ্রেসের তমোনাশ ঘোষকে পরাজিত করেন তিনি। ২০০১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের তমোনাশ ঘোষ সিপিআইএমের মলিনা মিস্ত্রিকে এই আসনে হারিয়ে দিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের সুধীর ভট্টাচার্য বামেদের আরতি দাশগুপ্তকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯১ সালে আরতি সুধীরকে এই আসনেই পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের দীনবন্ধু হালদারকে পরাজিত করেছিলেন আরতি।১৯৮২ সালে ফলতা আসনে বামপ্রার্থী নিমাইচন্দ্র দাস পরাজিত করেছিলেন কংগ্রেসের আশরাফ আলিকে। ১৯৭৭ সালে নিমাই কংগ্রেসের মোহিনীমোহন পাড়ুইকেও পরাজিত করেছিলেন।১৯৭২ সালে ফলতা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের মোহিনীমোহন পাড়ুই জিতেছিলেন। ১৯৭১, ১৯৬৯ ও ১৯৬৭ সালে বামেদের জ্যোতিষ রায় এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। তারও আগে ১৯৬২ ও ১৯৫৭ সালে কংগ্রেসের খগেন্দ্রনাথ দাস ফলতা আসনে জয়লাভ করেছিলেন। ১৯৫১ সালে দেশের প্রথম নির্বাচনে সিপিআইয়ের প্রার্থী জ্যোতিষচন্দ্র রায় ফলতা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন।