সমস্ত জল্পনায় জল ঢাললেন তৃণমূলের তরুণ তুর্কি নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। টিকিট না পাওয়া নিয়ে সমস্ত জল্পনার অকপটে জবাব দিলেন তিনি।তাঁর এই টিকিট না পাওয়া নিয়ে ঢি ঢি পড়ে গিয়েছিল নেটদুনিয়ায়। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকায়, ট্রোলড হতে হয়েছিল তাঁকে। নানা ধরনের মিম ধেয়ে এসেছিল তাঁর দিকে। তাতে আক্ষেপ, ভর্ৎসনা—ব্যঙ্গ কিছুই বাদ ছিল না। এই অবস্থায় রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন বলেও রব উঠেছিল। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করবেন বলেও জল্পনা ছড়িয়েছিল এদিন সমস্ত জল্পনাকেই ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন দেবাংশু। এবিবি আনন্দে সাক্ষাৎকারে জবাব দিয়েছেন তিনি।তবে কি তিনি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিচ্ছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তাঁর অকপট জবাব, ‘দল কখনও টিকিট দেওয়ার কথা দেয়নি, তাই আক্ষেপ থাকার কিছুই নেই।’ তিনি জানিয়ে দেন, সামনেই হাইভোল্টেজ নির্বাচন, তাই প্রচারকেই পাখির চোখ করতে চাইছেন তিনি।উল্লেখ্য, শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হন দেবাংশু। তাঁর টিকিট না পাওয়া নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছিলেন নেটনাগরিকরা। আবার অল্প সময়ের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহভাজন দেবাংশুর টিকিট না পাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন অনেকেই। এখানেই শেষ নয়, তাঁর রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ারও গুজব ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।তবে টিকিট পেলেন কিনা, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র বিচলিত দেখা যায়নি দেবাংশুকে। এবিবি আনন্দে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘সবটাই গুজব।’ দেবাংশু বলেন, ‘ বালির ছেলে আমি। বৈশাখী ডালমিয়া বিজেপিতে যোগদানের পর বিষয়টা সরলীকরণ করে দেওয়া হয়েছিল। মনে করা হয়েছিল তাঁর স্থলাভিষিক্ত আমি হব। কিন্তু দলের অভ্যন্তরে এমন কোনও কথা হয়নি। আমিও কখনও দলের কাছে টিকিট চাইনি।’ওই সংবাদমাধ্যমে তিনি আরও বলেন, ‘২০১৯ সালে দলে যোগ দেওয়ার পর আমার কাজই ছিল একেবারে তৃণমূলস্তর থেকে দলকে শক্তিশালী করা। সেইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দিদির কাজের কথা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া। তবে টিকিট পাওয়ার কোনও কথা আমার ছিল না। সেজন্যে হতাশা নিরাশার কোনও প্রশ্নই নেই।’দেবাংশুর টিকিট না পাওয়া নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এই প্রসঙ্গে ওই সংবাদমাধ্যমে দেবাংশু বলেন, ‘আমার খারাপ লাগছে বিরোধী দলগুলোর কথা ভেবে, যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার টিকিট না পাওয়া নিয়ে নেতিবাচক প্রচার চালাচ্ছে। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের দিনই সিপিএম-এর প্রার্থীতালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই সমস্ত খবর ছাপিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধু দেবাংশু আর দেবাংশু। আমি নিজেকে সেই জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছি এটাই আমার কাছে ভালো লাগার ব্যাপার। আর ভাবছি, একটা টিকিট না পাওয়া ছেলেকে নিয়ে এত প্রচার, টিকিট পেলে না জানি কী হত।’ ে না জানি কী হত।’