এই তফসিলি জাতি কেন্দ্রে এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন দেবপ্রসাদ বাগ। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয🅠়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআইএমের নীরব খাঁ।
কালনা পূর্ব বর্ধমান জেলার একটি পৌর অঞ্চল। ভাগীরথীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত এই শহরটি অম্বিকা কালনা নামে জনপ্রিয়। পঞ্চদশ-ষোড়শ শতকে এই স্থানটি উল্লিখিত হয়েছে আম্বুয়া বা অম্বুয়া মুলুক নামে। স্থানীয় দেবী অম্বিকার নামানুসারেই শহরের এই নামকরণ। জেলা সদর বর্ধমান শহরের থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কালনায় একাধিক দর্শনীয় 🐬স্থান রয়েছে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল - কালনার রাজবাড়ি, প্রতাপেশ্বর মন্দির, কৃষ্ণচন্দ্রজি মন্দির, লালজি মন্দির ও ১০৮ শিবমন্দির। ঐশ্বর্যপূর্ণ পোড়ামাটির মন্দির দ্বারা সমৃদ্ধ 𒁃অম্বিকা কালনাকে আসলে ‘মন্দিরের শহর’ বলা হয়। বর্ধমান জেলার অংশ কালনা শহরটি নদিয়া ও হুগলি জেলার সীমানার খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে। বিখ্যাত তীর্থস্থান নবদ্বীপ ও মায়াপুর কালনার খুব কাছেই অবস্থিত। ভাগীরথী, অজয় ও দামোদর নদের মধ্যবর্তী কৃষিসমৃদ্ধ পলল সমভূমিতে কালনার অবস্থান।
কালনা পূর্বꦰ বর্ধমান জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। কালনা বিধানসভা (তফসিলি জাতি) কেন্দ্রটি কালনা পুরসভা, কালনা-২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, বাগনাপাড়া, হাটকালনা ও কৃষ্ণদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি কালনা-১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকগুলির অন্তর্গত। কালনা বিধানসভা কেন্দ্রটি বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। আগে এই কেন্দ্রটি কাটোয়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ছিল।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ কুণ্ডু জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯৭,৪৩০৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী সুকুলচন্দ্র শিকদার। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৭২,১৬৯৷ তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ কুন্ডু তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থী সুকুলচন্দ্র শিকদারকে ২৫,২৬১ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের অঞ্জলি মণ্ডল কালনা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। নিকট♓তম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের আশিস চক্রবর্তীকে পরাজিত করেছিলেন।
২০০১, ১৯৯৬, ১৯৯১, ১৯৮৭ ও ১৯৮২ সালে সিপিআইএমের ꧋অঞ্জু কর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীদের এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। যথাক্রমে ২০০১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রীধর বন্দোপাধ্যায়, ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের লক্ষ্মণকুমার রায়, ১৯৯১ ও ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের ধীরেন্দ্রনাথ চট্টোপ𓂃াধ্যায় ও ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের সুধীর ঘোষকে পরাজিত করেছিলেন অঞ্জু। ১৯৭৭ সালে সিপিআইএমের গুরুপ্রসাদ সিনহা রায় জনতা পার্টির দেবেন্দ্র বিজয় ঘোষকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের নুরুল ইসলাম মোল্লা কালনা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তার আগে ১৯৭১, ১৯৬৯, ১৯৬৭ ও ১৯৬২ সালে পর পর চার বার সিপিআইয়ের হরেকৃষ্ণ কোনার এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৫৭ ও ১৯৫১ সালে এই কেন্দ্রে যৌথ আসন ছিল। ১৯৫৭ সালে সিপিআইয়ের হরেকৃষ্ণ কোনার ও জমাদার মাঝি উভয়ই এই যৌথ আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৫১ সালে দেশের প্রথম নির্বাচনে কংগ্রেসের বৈদ্যনাথ সাঁওতাল ও রাসবিহারী সেন উভয়ই এই যৌথ আসনে জয়ী হয়েছিলেন।