বুধবার ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে সভা করতে গিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুইল চেয়ারকে সঙ্গী করে তিনি বলেন, ‘দুঃশাসনের সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টরি বিজেপি। ওরা আদিবাসীর জমি কেড়ে নিতে চায়। আর বিজেপি বলছে আমরা সবাই চোর। লোকসভা নির্বাচনে আমরা আসন হারিয়েছিলাম ঝাড়গ্রামে। কিন্তু বিজেপি আদিবাসীদের সম্মান দিতে জানে না। আমাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধে গোটা ভারতে পাবেন, ভেলোরেও পাবেন। লোকসভায় জিতেছিল বিজেপি, কী করেছে তারা? এবার ওদের শূন্য করে দিন।’ লোকসভা ভোটে শাল মহুলের জঙ্গলে পদ্মফুল ফুটেছিল। সেই প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘বিজেপি এখানে জিতে কোনও কাজ করেনি। আর আমাদের চেষ্টায় এখন ঝাড়গ্রামে আর রক্ত ঝরে না। এখানে এত উন্নয়ন করেছি যে ঝাড়গ্রাম এখন জঙ্গল সুন্দরী হয়ে গিয়েছে। আমায় চিকিৎসকরা বেরতো বারণ করেছিলেন। কিন্তু আমি ঘরে বসে থাকলে বিজেপি মিথ্যা বলে সব দখল করে নেবে।’ এরপরই তীব্র আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলায় এরা এক হাজার মন্ত্রী, নেতা নিয়ে এসেছে। বিজেপির পরিকল্পনা আছে, গুন্ডা নিয়ে এসে আপনাকে ভোট দিতে না দিয়ে নিজেরা ভোট দেবে। কিন্তু তা হতে দেবেন না। আপনারই প্রথম খেলবেন। এমন খেলবেন যাতে বলটা মাঠের বাইরে গিয়ে পড়ে।’ উল্লেখ্য, বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছনোর প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ করেছে নির্বাচন কমিশন। মমতা পুরুলিয়াতেই বলেছিলেন, তাঁর সরকার এখনই সকলকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে। এবার ক্ষমতায় এলে আর রেশন দোকানে গিয়ে চাল–ডাল সংগ্রহ করতে হবে না সাধারণ মানুষকে। বরং তাঁদের দোরগোড়ায় সবকিছু পৌঁছে দেবে সরকার। আর মমতার এই প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতেই নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। কিন্তু তাতেও যে তিনি নিজের অবস্থান থেকে সরছেন না, তা এদিন প্রমাণ করেছেন গোপিবল্লভপুরেও। আর বলেছেন, ‘বিনা পয়সায় রেশন দিই আমরা। আগামীদিন আপনাদের রেশনে যাওয়ার দরকার নেই। দুয়ারে সরকার দরজায় দরজায় খাবার পৌঁছে দিয়ে আসবে।’ আর বিজেপি নেতাদের সম্পর্কে তাঁর অভিযোগ, বিজেপি নেতারা কখনও কখনও আসেন। ফাইভ স্টার হোটেল থেকে খাবার নিয়ে আসেন। একটা তফশিলি ঘরকে বলে তোমার ঘরটা ভাড়া দেবে। পাঁচ হাজার টাকা দেয়।