গোটা বাংলায় যখন সবুজ ঝড় তখন উত্তরবঙ্গে মোটের উপর কিছুটা ভালো ফল করেছে বিজেপি।রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজবংশীদের মন জয়ে এবার গোটা ভোটপর্ব জুড়ে নানা কৌশল নিয়েছিল বিজেপি। গ্রেটার নেতা অনন্ত রায়ের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন খোদ অমিত শাহ। তবে তার ফলও মিলেছে হাতেনাতে। উত্তরের রাজবংশী অধ্যুষিত এলাকায় ভালো ফল করেছে বিজেপি। কোচবিহারের দিনহাটা, মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ, দিনহাটা, কোচবিহার উত্তর ও দক্ষিণ, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের একাংশে রাজবংশী মানুষদের সংখ্যা যথেষ্ট বেশি। রাজনৈতিক মহলের মতে প্রচারপর্বে বিজেপির সভা ভরিয়েছিলেন তারাই। ভোটের ইভিএমেও বিজেপির পক্ষে রায় দিয়েছেন তারাই। কোচবিহারে বিজেপির পক্ষে রায় দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন গ্রেটার নেতা অনন্ত রায়। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষে রায় দেওয়ার জন্য বার্তা দিয়েছিলেন অপর গ্রেটার নেতা বংশীবদন বর্মন। তবে রাজবংশী মন জয়ে শেষ হাসি হেসেছে বিজেপিই। তবে দুই দিনাজপুরে অবশ্য চিত্র কিছুটা আলাদা। সেখানে রাজবংশী এলাকাতেও বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারেনি বিজেপি। অন্যদিকে গোটা ভোটপর্ব জুড়ে মতুয়া ভোটব্যাংককে ঘিরে চলেছিল দুপক্ষের মধ্যে দড়ি টানাটানি। দ্বিধাবিভক্ত ছিল ঠাকুরবাড়িও। হাবরা বাদ দিয়ে বনগা, বাগদা, গাইঘাটাতে, রানাঘাটে ভালো ফল করেছে বিজেপি। এখানেও সেই মতুয়া ভোটব্যাংকই মান বাঁচিয়েছে বিজেপির। এমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।